নিজস্ব প্রতিবেদক:
এমসি কলেজের শিক্ষার্থী হাফেজ ইফজাল হত্যার রহস্য উন্মোচনের দাবিতে মাঠে নেমেছেন তার নিজ এলাকা কানাইঘাটের মানুষজন। ইফজালকে পরিকল্পিত খুন করা হয়েছে দাবি করে বিশাল মানববন্ধনে বক্তব্যরা খুনীদের গ্রেফতার করার দাবি জানান। বিশেষ করে বোনের দেবর ও ভসুর কে আইনের আওতায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি উঠে মানববন্ধনে।
বুধবার (৮ জুলাই) বিকালে উপজেলার গাছবাড়ী বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে যোগ দেয়- ‘আমার কানাইঘাট’ অনলাইন গ্রুপ, রক্তাঙ্গন গ্রুপ গাছবাড়ী, ৭ নং দক্ষিণ বাণী গ্রাম অনলাইন ফোরাম, কানাইঘাট উপজেলা প্রবাসী কল্যাণ ঐক্য পরিষদ (সৌদিঅারব), নিজ গাছবাড়ী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, অাগফৌদ নারাইনপুর শাহজালাল সমাজকল্যাণ যুব সমিতি, মিয়াগুল দূরন্ত সমাজকল্যাণ সংস্থা, অাল ইসলাহ সেবা সংঘ লামাঝিংগাবাড়ী, বন্ধুমহল, সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণ কমিটি, লামা দলইকান্দি সমাজ কল্যাণ সমিতি, সসছ দিশারী সংঘ।
যুবসমাজের অাহ্বায়ক বুরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন জাবেরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা ইফজাল আহমদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।
বক্তারা অারো বলেন, সম্পূর্ণ সুস্থ ও তরতাজা মেধাবী যুবক হাফিজ ইফজালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ইফজাল হত্যার ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও ঘটনার কোন কূলকিনারা হচ্ছে না। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও ঘটনাটি গভীরভাবে খতিয়ে দেখার জন্য জোর দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মেট্রোসিটি উইমেন্স কলেজের প্রিন্সিপাল অাহমদ সালেহ বিন মালিক, গাছবাড়ী পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক লোকমান উদ্দিন, গাছবাড়ী সামিট মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মখতার আহমদ, গাছবাড়ী নাগরিক কমিটির যুগ্ম অাহ্বায়ক মিসবাহ উদ্দিন, জমিয়ত নেতা মহিউদ্দিন, ব্যবসায়ী অাব্দুল খালিক খালিদ, ৭ নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়ন অনলাইন ফোরামের সদস্য জাবেদ মুন্না, ছাত্রনেতা সেলিম অাহমদ, ইফজাল চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট নগরীর উপশহর বি-ব্লকের ১৮ নাম্বার রোডের ৩ নাম্বার বাসার নিচতলা থেকে ইফজাল অাহমদ (২৮) এর লাশ উদ্ধার করে শাহপরান থানা পুলিশ। তিনি কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের কাপ্তানপুর গ্রামের মৃত কুতুব অালীর ছেলে।ইফজাল গত প্রায় ৫ বছর থেকে তার বড় বোনের সাথে ঐ বাসায় থাকতেন।
