ইতালিতে মৃত্যু মিছিলের মধ্যেও আশার বাণী শোনাচ্ছে রোমভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইনাডি ইনস্টিটিউট ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিনান্স (ইআইইএফ)। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে সিভিল প্রটেকশন ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তারা বলছে, মে মাসের ৫ থেকে ১৬ তারিখের দিকে করোনার মহামারি শেষ হবে ইতালিতে।
ইনস্টিটিউটটি মহামারি সংক্রান্ত সব ধরনের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে একটি অ্যালগরিদমের ওপর ভিত্তি করে এই পূর্বাভাস দিয়েছে। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা, সুস্থ ও মারা যাওয়ার সংখ্যা বিবেচনা করে তারা এই ধরনের পূর্বাভাস দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, মহামারির তীব্র পর্যায়টি এপ্রিলের মাঝামাঝি নাগাদ শেষ হয়ে যাবে।
ইআইইএফ’র বিশ্লেষণ অনুসারে, ইতালির ট্রেন্তিনো-দক্ষিণ টাইরোলের উত্তরাঞ্চলটিতে এপ্রিল ৬ তারিখে জরুরি অবস্থা শেষ হবে। আশা করা হচ্ছে, এরপরে বেসিলিকাটা, লিগুরিয়া ও আম্বরিয়ার মধ্য অঞ্চলগুলোর জরুরি অবস্থা শেষ হবে এপ্রিলের ৭ তারিখে। লাজিও অঞ্চলে করোনা নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা শেষ হবে ১৬ এপ্রিলের মধ্যে। ভেনেটো ও পাইডমন্টের উত্তর অঞ্চলগুলোতে, যেখানে করোনা রোগী প্রথম সনাক্ত হয়; সেখানে ১৪ ও ১৫ এপ্রিলের মধ্যে করোনার প্রাদুর্ভাব শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। ইতালির লম্বার্ডি এবং এর প্রশাসনিক কেন্দ্র মিলানোতে সবচেয়ে ভয়াবহ থাবা বসিয়েছে করোনা। তবে এপ্রিলের ২২ তারিখের মধ্যে করোনার নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা শেষ হবে সেখানে। এমিলিয়া-রোমগনার সংলগ্ন অঞ্চল, যেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগী পাওয়া যায়, সেখানে ২৮ এপ্রিলের পর নতুন কোনো করোনা রোগী পাওয়া যাবে না। আর মে মাসের ৫ তারিখে করোনা মুক্ত হবে ইতালির তস্ক্যানা নামক অঞ্চল।
ইতালির স্বাস্থ্যবিষয়ক উপমন্ত্রী পিয়েরপাওলো সিলারিকেও করোনা ধরে বসে। কিন্তু বর্তমানে তিনি সুস্থ। তিনি জানান, সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই ইতালিতে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাবে। এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইতালির উচ্চ স্বাস্থ্য পরিষদের সভাপতি ফ্রাঙ্কো লোকেটিলি জানান, ‘আমরা সঠিক পথে আছি এবং আমাদের কৌশলও ঠিক আছে। এখন লক্ষ্য মহামারী ছড়িয়ে পড়া রোধ করা এবং যতটা দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যাওয়া।’ নিউজউইক