নতুন ইতিহাস হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে। একই ম্যাচে আম্পায়ারিং করবেন স্বামী-স্ত্রী। এ দুই আম্পায়ার হলেন নঈম আশরাফ ও তার সহধর্মিণী জাসমিন নঈম।
শনিবার রেচেল হেহো ফ্লিন্ট ট্রফিতে লাইটনিং এবং ওয়েস্টার্ন স্টর্মের ম্যাচ পরিচালনা করবেন এ দম্পতি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড স্বীকৃত ম্যাচে এই প্রথম কোনো দম্পতিকে একসঙ্গে আম্পায়ারিং করতে দেখা যাবে।
ইংল্যান্ডের লাফবরোতে খেলা নিয়ে যত না উৎসাহ তৈরি হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি আগ্রহ আম্পায়ারিং নিয়ে। বাবা-মায়ের একসঙ্গে আম্পায়ারিং দেখতে মাঠে হাজির থাকবেন তাদের তিন ছেলে শাহজায়েব, উমের এবং জাহির।
দুসপ্তাহ আগে ছিল নঈম-জাসমিনের ২৩তম বিবাহবার্ষিকী। তার পরই জাসমিন টনটনে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা দলের টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন।
এদিকে এমন ইতিহাস গড়তে পেরে দারুণ খুশি জাসমিন।
তিনি বলেন, ‘ল্যাঙ্কাশায়ার ও গ্রেটার ম্যাঞ্চেস্টারে আমরা এক সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলিয়েছি। তখন কেউ বুঝতেই পারেননি আমরা বিবাহিত। এ বার বড় মঞ্চে সুযোগ পেয়ে আমরা দু’জনেই সম্মানিত।’
খেলোয়াড়ি জীবনে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন নঈম আশরাফ। আকস্মিক চোটে খেলা ছাড়তে বাধ্য হন। আম্পায়ারিং শুরু করেন।
স্বামীর পেশায় কীভাবে জড়িয়ে গেলেন জাসমিন?
সে প্রসঙ্গে এ নারী আম্পায়ার বলেন, ‘আমরা অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। নঈম ক্রিকেট ছাড়তে চায়নি। ও যখন স্টেজ থ্রি কোর্সটা করছে, দেখলাম হাতের ব্যথা তখনও যায়নি। হাত তুলতে পারছিল না। লিখতে কষ্ট হচ্ছিল ওর। আমি ঠিক করলাম ওর হয়ে নোট লিখে দেব। সেটা করতে গিয়ে দেখলাম, আরে, আমি তো অনেক কিছুই জানি। আমার গুরুও আমাকেও আম্পায়ারিং শিখতে বললেন। শুরুতে ‘না’ বলে দিয়েছিলাম। নঈম একদিন বলল, আমারও আম্পায়ারিংয়ে আসা উচিত। বলল, নারীদের সামনে দৃষ্টান্ত তুলে ধরা উচিত। আমার স্বামীর জন্যই আজ আমি আম্পায়ার হতে পেরেছি।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি স্পোটর্স।