বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন এবং অত্যাসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু দেখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করার জেরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর স্থগিত হয়েছে- এমন ধূম্রজাল নাকচ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। গতকাল রাজধানীতে ঘুম কম হওয়া বিষয়ক কর্মশালা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি বকওয়াস, বাজে চিন্তা। আপনার মনে অহেতুক খটকা লেগেছে! বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির বিস্ফোরক মন্তব্য প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফের বলেন, একটি মহল রাষ্ট্রদূতকে ভুল তথ্য দিয়েছে। সরকার বিষয়টিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশেষ উদ্বিগ্ন না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোনো দুষ্ট লোক তাকে ভুল তথ্য দিয়েছে। তিনি সাদাসিধে মানুষ, বাংলাদেশের খুব ভালো বন্ধু। ওদের তথ্য মতো বলছে, পুলিশ এসে ভোট দিয়েছে। সে কথা তিনি বলে ফেলেছেন। তিনি ভালো মানুষ।
একাধিক বিষয় বিবেচনায় সরকার প্রধানের সফর স্থগিত করা হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাওয়াত দিয়েছেন। এ দাওয়াতটা আমরা দুই বছর আগে পেয়েছিলাম। কোভিডের কারণে দুই বছরের অধিক সময় হলেও যাওয়া যায়নি। এবার সব ফাইনাল করা হয়েছিল। কিন্তু সমপ্রতি জাপান সরকারের মধ্যে একটা অস্থিরতা বিরাজ করছে। পরপর তিন জন প্রভাবশালী মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এরইমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি জাপানের সংসদে ২৯ বা ৩০ তারিখ কিছু প্রস্তাব আসবে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে। তিনি (জাপান প্রধানমন্ত্রী) খুব ব্যস্ত আছেন। এই সময়ে আমরা তাকে বিরক্ত করতে চাই না।
দ্বিতীয়ত কোভিড পরিস্থিতির অবনতি। জাপানে এখনো কোভিডের জন্য কোয়ারেন্টিন করতে হয়। তারা প্রধানমন্ত্রীসহ ১০ জনকে কোয়ারেন্টিন ছাড়াই প্রবেশে রাজি হয়েছে। অথচ আমরা তো বিরাট দল নিয়ে যেতে চাই। আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে যেতে চাই, যেন আমাদের দেশে বিনিয়োগ বাড়ে। তাদের সঙ্গে আমাদের বিনিয়োগ বাড়ছে। কিন্তু আমরা আরও বিনিয়োগ চাই। মন্ত্রী বলেন, আমরা অবশ্যই জাপানে যাবো, সুবিধাজনক সময়টাই খুঁজছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সফর স্থগিত নিয়ে ভিন্ন চিন্তা না করার পরামর্শ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাপানের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। জাপান আমাদের ভালো বন্ধু।