নিজস্ব প্রতিবেদক:
“ষড়যন্ত্রকারীদের দ্বারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে অবমাননা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। বিএনপির প্রাণের স্পন্দন এই মহান নেতাকে হেয় করার যে কোনো অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে। সবাইকে এখন থেকে আরও সচেতন থাকতে হবে এবং সোশ্যাল মিডিয়াসহ সব মাধ্যমে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে।” — বলেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমেদ চৌধুরী।
রোববার (১৩ জুলাই) প্যারিসের উপকণ্ঠ অভারবিলার একটি অভিজাত হলে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার জাতীয়তাবাদী পরিবার, ফ্রান্স আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় রাজনীতিতে প্রবাসীদের অবদান তুলে ধরে এমরান আহমেদ চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আন্দোলনের পথচলায় প্রবাসীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা কোনো অংশে দেশের নেতাকর্মীদের চেয়ে কম নয়। বিশেষ করে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এর সময় প্রবাসীরা যে ভূমিকা রেখেছেন, তা বিএনপির ইতিহাসে অনন্য হয়ে থাকবে।”
তিনি বলেন, “গত দেড় দশকে যারা আওয়ামী লীগের ছায়ায় থেকে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন, তারা এখন বিএনপির নমিনেশন চাইছেন। তাদের বিষয়ে দল সতর্ক রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।”
বিএনপির আসন্ন নির্বাচনী প্রস্তুতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সিলেটসহ দেশের ৩০০ আসনে নমিনেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটি এখন সময়ের দাবি।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফ্রান্স বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহের। আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য জাসাসের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম, ইউকে বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ইউকে যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জনি, দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, ইউকে জাসাসের সাধারণ সম্পাদক তাসবির চৌধুরী শিমুল, বিএনপি নেতা কিবরিয়া ইসলাম, এইচ এম রহিম, সিরাজুর রহমান সিরাজ, ফ্রান্স বিএনপির সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক দিব্য রায় এবং ফ্রান্স বিএনপি নেতা ফারুক আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফ্রান্স বিএনপির নেতা মোহাম্মদ আলতাফুর রহমান।
ফ্রান্স ছাড়াও যুক্তরাজ্য, ইতালি, বেলজিয়াম ও স্পেন থেকে আগত বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও কর্মজীবনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, প্রবাসী নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং আগামীর আন্দোলন-সংগ্রামে প্রস্তুতির প্রত্যয়।
