মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Sex Cams

রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর পিতা এমএ মুছাব্বির আর নেই




নিজস্ব প্রতিবেদক:

মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘ, হোয়াইট হাউস ও স্টেট ডিপার্টমেন্টে সাবেক সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর পিতা এম এ মুছাব্বির ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গত ৩ মে নিজ বাসভবনে হঠাৎ করে স্ট্রোক করেন এম এ মুছাব্বির। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৫ মে তাকে স্থানান্তর করা হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। সেখানে তিনদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার পর আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাস জীবন কাটানো এম এ মুছাব্বিরের জীবনের শেষ নয় বছর কেটেছে এক প্রকার নির্বাসনে। রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায় বিচারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেয়ায়, পরিবার দাবি করেছে—ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসনামলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি।

রাষ্ট্রদূত আনসারীর বাবা হিসেবে পরিচিত হলেও, এম এ মুছাব্বির নিজেও ছিলেন একজন চিন্তাশীল ও সমাজ সচেতন ব্যক্তি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দেশমাটি থেকে দূরে থাকা তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছিল বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।

মরহুম এম এ মুছাব্বির পাঁচ সন্তানের জনক। বড় ছেলে মুশফিকুল ফজল আনসারী দেশের বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে নিরলস কাজ করে চলেছেন। তার ছোট ছেলে মাওলানা আবু সাঈদ আনসারী সৌদি আরবের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব শায়েখ আব্দুর রহমান সুদাইসির ঘনিষ্ঠ ছাত্র ছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যের একটি ইসলামিক সেন্টারে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া এম এ মুছাব্বিরের আরও তিন কন্যা সন্তান রয়েছেন।

তার মৃত্যুতে প্রবাসী বাংলাদেশি মহলে এবং বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: