করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। মাস্ক তৈরির জন্য সিল্ক, সুতি, পলিয়েস্টার, কৃত্রিম তন্তুসহ ১০ রকমের কাপড় ব্যবহার করা হয়।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে, গেঞ্জি বা টি-শার্ট তৈরিতে ব্যবহৃত কাপড় মাস্কের জন্য সবচেয়ে ভালো। এই মাস্ক ব্যবহারে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
এই গবেষণা দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় অ্যাট আরবানা-শ্যাম্পেইনের মেকানিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক তাহের সাইফ।
অধ্যাপক তাহের সাইফ তার দুই পিএইচডি শিক্ষার্থীকে নিয়ে এ গবেষণা পরিচালনা করেন। ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন- বাংলাদেশের বাশার ইমন ও তুরস্কের আনুর আইদিন
‘শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে নির্গত জলকনার (ড্রপলেটস) মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে হাতে বানানো মাস্কের কাপড়ের কার্যকারিতা সমীক্ষা’ শিরোনামের এই গবেষণাপত্র ২৪ এপ্রিল প্রকাশিত হয় ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ওয়েবসাইটে (www.medrxiv.org)।
ইয়েল ইউনিভার্সিটি করোনা সংক্রমণ সংশ্লিষ্ট গবেষণাগুলো সরাসরি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে।
অধ্যাপক তাহের সাইফ বলেন, মাস্ক ব্যবহার ছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব নয়। মাস্কের মূল কাজটা হলো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে থুতু বা শরীর থেকে যে ড্রপলেটস বের হয়ে আসে তা ঠেকানো। এছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাস যাতে নেয়া যায় সে ব্যবস্থা রাখা জরুরি।
তিনি বলেন, বিশেষ অনুমতি নিয়ে গত মার্চ মাসের শেষদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে এই গবেষণা শুরু করি। মাস্ক তৈরির জন্য সিল্ক, সুতি, পলিয়েস্টার, কৃত্রিম তন্তুসহ ১০ রকমের কাপড় নেন তিনি। স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে সামনে ছিল সার্জিক্যাল মাস্ক।
তাহের সাইফ বলেন, ড্রপলেটস আটকাতে এবং শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়ার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে কার্যকর। গবেষণায় গেঞ্জি বা টি-শার্ট তৈরিতে ব্যবহৃত কাপড়ে সবচেয়ে ভালো ফলা পাওয়া গেছে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, গেঞ্জির কাপড় এক স্তর ৪০ শতাংশ ড্রপলেটস আটকাতে পারে। কিন্তু দুই স্তর কাপড় দিলে এটি ৯৮ শতাংশ ড্রপলেটস আটকাতে পারে। সহজে শ্বাসও নেয়া যায়। অন্যদিকে সার্জিক্যাল মাস্ক ড্রপলেটস আটকাতে পারে ৯৬ শতাংশ। এটি শুধু একবারই ব্যবহার করা যায়।