ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের ৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সোমবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি ওই নির্দেশনা দেন। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই বৈঠকের বিস্তারিত জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তি মতে, মন্ত্রীর বক্তব্য ছিল খুবই স্পষ্ট। তাতে তিনি মোটাদাগে যে ৩ নির্দেশনা দিয়েছেন তা হলো- করোনার এই কঠিন সময় বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ধরে রাখা, গুজব বা প্রোপাগান্ডায় বিভ্রান্ত না হয়ে বরং তা খণ্ডনের চেষ্টা করা এবং গার্মেন্টসের বিদ্যমান বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি নতুনের সন্ধান করা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দূতদের বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তা স্ব স্ব দেশের সরকার ও প্রবাসীদের অবহিত করার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বহি:বিশ্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে নেতিবাচক প্রচারণার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
দেশের অর্থনীতিতে সাময়িকভাবে যে চাপের সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবিলায় ১২.১১ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় ৫ কোটি মানুষের হাতে নগদ সহায়তা তুলে দেয়া হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও আইএলও’র নির্দেশনা মেনে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে কিছুদিন পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬৫ লাখ পিপিই রপ্তানি করা হয়েছে। দেশের ঔষধ শিল্পের অভাবনীয় উন্নতির ফলে করোনা চিকিৎসায় বিভিন্ন ঔষধ উৎপাদন ও রপ্তানি অব্যাহত রয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিজিএমই’র সভাপতি ড. রুবানা হক সংযুক্ত ছিলেন। ড. হক তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করেন এবং তাদের সহযোগিতা কামনা করেন। রাষ্ট্রদূতগণ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে বিজিএমই’র সভাপতিকে আশ্বস্ত করেন।
ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে বৃটেন, ইতালি, ফ্রান্স, সুইডেন, বেলজিয়াম, গ্রিস, স্পেন, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, জার্মান, সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ায় নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা অংশ নেন।