বেলাল আহমেদ:
পর্তুগালে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান সেদেশের রাষ্ট্রপতির নিকট পরিচয় পত্র পেশ করেছেন। আজ (১৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে) রাজধানী লিসবনে অবস্থিত পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতির সরকারী বাসভবন “প্যালাসিও দ্যা বেলেম”-এ আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি প্রফেসর মারসেলো রেবেলো দ্য সোজা’র নিকট রাষ্ট্রদূত তাঁর পরিচয় পত্র পেশ করেন।
রাষ্ট্রদূত মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে ’বাংলাদেশ ভবন’ হতে “প্যালাসিও দ্যা বেলেম” পৌছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। রাষ্ট্রদূত মহোদয়ের সালাম গ্রহনকালে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পর্তুগালের রাষ্ট্রপতির নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র প্রদানকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পর্তুগিজ সম্প্রদায় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেরতা নুনেস, রাষ্ট্রপতির কূটনৈতিক বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অ্যানা মাটির্নও, রাষ্ট্রাচার প্রধান ক্লারা নুনেজ দস সান্তোস, রাষ্ট্রপতির অসামরিক ও সামরিক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজী উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র পেশের পর পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একটি সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত তাঁকে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌছে দেন। বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান “৫০০ বছরের” ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মান্যবর রাষ্ট্রদূত বর্তমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা গ্রহণের সংকল্প ব্যক্ত করেন। পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে সম্প্রতি বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাস ও বাংলাদেশ ভবন ক্রয়ের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত অনুরূপ ভাবে ঢাকায়ও পর্তুগিজ দূতাবাস স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনার জন্য পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন।
পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতি রাষ্টদূতের উত্থাপিত বিষয়সমূহকে গুরুত্ব সহকারে শ্রবণ করেন এবং রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও শান্তি কামনা করে তাদেরকে শুভেচ্ছা প্রেরণ করেন। সম্প্রতি প্রথম (১৮ শতকের) বাংলা-পর্তুগিজ অভিধানের পুনঃমুদ্রণের কথা উল্লেখ করে তিনি মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জনগণের এই ঐতিহাসিক সম্পর্ক অদ্যাবধি বিদ্যমান। তিনি বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবার উপর গুরুত্বারোপ করেন। সাক্ষাত কালে রাষ্ট্রপতি লিসবনে বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাস ক্রয়ের সংবাদে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এর ফলে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বেগবান হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে পর্তুগিজ দূতাবাস স্থাপনের বিষয়টি পর্তুগিজ সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও সৌজন্য সাক্ষাত কালে রাষ্ট্রপতি পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের কর্মদক্ষতা এবং আন্তরিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।