বিশেষ সংবাদদাতা
সিলেটের বৃহৎ এবং আলোচিত কোম্পানী আবাসন এসোসিয়েটে হঠাৎ এক উৎপাতের সূচনা হয়েছে প্রবাস থেকে। এই উৎপাতের ফলে নয়া করে গ্রæপিং এবং মুখোমুখী অবস্থায় রয়েছেন প্রবাসী এবং দেশের পরিচালকরা। হাতেগোনা কিছু পরিচালক প্রবাস থেকে অসৌজন্যমূলক এবং আপত্তিকর রুচীহন আচরন করে বিক্ষোব্দ করে তুলেছেন সিলেটের পরিচালকদের। তাদের কারো আচরন মদ্যপের মত,কারো আচরন মাস্তানের ন্যায়। প্রবাসীদের বেসামাল আচরনে হতবাক হয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আবাসন-বিডি এনআরবি নামের ওয়াটসআপ গ্রæপ। এই ওয়াটসগ্রæপের অডিও এবং হুমকী ধমকীর বিভিন্ন তথ্য এখন দেশ-বিদেশের আইন শৃংখলা বাহিনী, আদালত এবং গণমাধ্যমের হাতে। সম্প্রতি আবাসন পরিচালকদের মধ্যে চ্যালেঞ্জ পাল্টা চ্যালেঞ্জ আল্টিমেটামের ফলে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃস্টি হয়েছে। এর ফলে চেয়ারম্যান শেরীনের দূবৃত্তায়ন,অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা আড়াল হওয়া এবং আসন্ন এজিএম ভন্ডুল হওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিস্টরা। তবে বাংলাদেশে জয়েন্টস্টক এক্সচেঞ্জ এ নিবন্ধিত এবং বাংলাদেশের সিলেটের মাটিতে যে প্রকল্প সে প্রকল্প রক্ষা করা এবং প্রবাসের যে কোন অপচেস্টা রুখতে ঐক্যবদ্ব রয়েছেন দেশের তথা সিলেটের পরিচালকরা,তারা যৌথ সভা করেছেন এজিএমের তারিখ নির্ধারন করেছেন, ইতিমধ্যে কমিশন শেরীন নামে পরিচিত আবাসনের বিতর্কিত চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরীনকে ইঙ্গিত করে স্থানীয় পত্রিকায় সতর্কীকরন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে সিলেটের পুরো আবাসন সেক্টরে নজির স্থাপিত হলো যে কোম্পানীর চেয়ারম্যান দাবীদার ব্যক্তির বিরোদ্বে পেপার বিজ্ঞপ্তি ছাপতে হলো ঐ কোম্পানীকেই।
আবাসন এসোসিয়েটে কিংবা আবাসন ডেভলাপার্সে নাম রয়েছে কীনা এমন সন্দেহ সংশয় রয়েছে এমন একজন ব্যক্তি লন্ডন প্রবাসী আনিসুল চৌধূরী সম্প্রতি আবাসনে বিভেদ বিভাজনের জন্ম দেন। তার কিছু দালাল এই বিভেদ উস্কে দিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিউইয়র্ক প্রবাসী আহমদ হোসেন,যার সংশ্লিস্টতা আবাসনের দীর্ঘ কার্যক্রমে আলোচিত ছিলনা। এছাড়া আব্দুল হাই,সাইফুল ইসলাম প্রবাস থেকে নানা অপপ্রচার চড়াতে থাকেন। চরম অবনতিশীল পরিস্থিতি হলে আবাসনে সর্বজন গ্রহনযোগ্য বরেন্য ব্যাসায়ী মাসুদ আহমদ মাকুম ওয়াটসআপ গ্রæপ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এই গ্রæপের এডমিন আবাসনের অন্যতম সংগঠক ও পরিচালক নুরুল আহমদ ওয়াটসআপ গ্রæপ বন্ধ করে এনআরবি বাদ দিয়ে বিডি ডিরেক্টর নামে একটি গ্রæপ চালু করেন। এর জন্য এনআরবিদেও দায়ী করাসহ পুরো প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন তিনি। এসব ঘটনা প্রবাহ এবং তথ্যের সত্যতা স্বীকার আবাসনের সাথে সংশ্লিস্ট একাধিক সূত্র জানায় আনিস-আহমদ গংদের আচরন ক্ষমার অযোগ্য । তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারকে হাতিয়ার হিসেবে বেচে নিয়েছে এবং অনেকের ব্যাপাওে মানহানীকর বক্তব্য মন্তব্য চালিয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃস্টি করতে চাচ্ছে। আবাসনের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে যেখানে দুই কোটি টাকা প্রয়োজন সেখানে মাত্র ৩০ লাখ টাকার তহবিল করে প্রবাসীরা যেভাবে দেশের পরিচালকদেও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন এবং নিজেদেও লাঠিয়াল ভাবছেন সেটি বিস্ময়কর বলে মন্তব্য করেছেন অনেক পরিচালক।
আবাসনের একজন পরিচালক জানান লন্ডন প্রবাসী এলাইছ মিয়া মতিন,আবুল কালাম ছোটন,শামসুল হক,মঞ্জুরুল আলম মন্টুসহ অনেক পরিচালক দেশে গেছেন,আবাসন এর সমস্যা সমাধানের জন্য বৈঠক করেছেন ,দেশের পরিচালকরা তাদের সম্মান জানিয়েছেন এবং সহযোগীতা করেছেন। এছাড়া কানাডা প্রবাসী ওয়াহিদুর রহমান ,সুইডেন প্রবাসী আবুল হোসেনসহ অনেক প্রবাসী পরিচালকরা গঠনমূলক ভুমিকা পালন করে আবাসনের সমস্যা সমাধানের প্রচেস্টা অব্যাহত রেখেছেন। লন্ডনে তথাকথিত টাস্কফোর্স এর সমালোচনা করে আবাসনের দেশ বিদেশের পরিচালকরা কোম্পানী আইনে এবং গণতান্ত্রিক পন্থায় সমস্যা সমাধানের জন্য বিশৃংলা সৃস্টিকারী প্রবাসীদের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন। সব ধরনের অপপ্রচার অপতৎপরতা বন্ধ করে শান্তিপূর্ন এবং অতীতের ন্যায় সৌহার্দ্য বজায় রেখে সমস্যা সমাধানে আন্তরিক মন নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন তারা।