দোনবাসে অবশেষে অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। গত কয়েকদিন ধরেই তাদের এ অভিযানের বিষয়ে সতর্ক করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো।
দোনবাসে রুশ বাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনে কুলিয়ে ওঠতে পারবে কিনা এ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
আর ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির নিরাপত্তা প্রতিবেদক ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনার জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে দোনবাসে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনকে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে।
কারণ রুশদের মোকাবেলা করতে ইউক্রেনের হাতে পর্যাপ্ত রশদ ও গোলাবারুদ নেই।
ইউক্রেন যে গোলাবারুদের সঙ্কটে আছে এ বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট।
বিবিসির ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনার তার বিশ্লেষণে বলেছেন, ইউক্রেনের যে সংখ্যক যোদ্ধা দোনবাসে যুদ্ধ করছেন রাশিয়ার তুলনায় তাদের সংখ্যা খুবই কম।
দোনবাসে অবস্থান করছে রাশিয়ার ৭৬টি ট্যাকটিক্যাল ব্যাটালিয়ন। আর একেকটি ব্যাটালিয়নে গড়ে এক হাজার সেনা আছেন। তাদের সবার একটাই লক্ষ্য দোনবাস জয় করা।
তাছাড়া রুশদের কাছে আছে বিপুল পরিমাণ কামান ও হামলা করার যুদ্ধাস্ত্র।
ইউক্রেনে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, দেখুন যদি রাশিয়ার এত বড় সৈন্যদলকে যদি হারানোর কোনো সুযোগ আমাদের থাকে তাহলে এজন্য আমাদের প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ ভারি সরঞ্জাম, অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।
অস্ত্র পেলে ইউক্রেন যে বেশ ভালোই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে এ বিষয়টিও বেশ ভালো ভাবেই জানে রাশিয়া।
আর এ কারণে পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও অন্যান্য ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো থেকে যে পথ দিয়ে ইউক্রেনে অস্ত্র আসছিল সেগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
আর এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বিপর্যস্ত সেনাবাহিনীর কাছে পুনরায় অস্ত্র সহায়তা পাঠানো ও রশদ পাঠানোর বিষয়টি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো বিষয়।
বিবিসির বিশ্লেষক ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনার তার বিশ্লেষণের শেষে বলেছেন, বিষয়টি অন্যভাবেও যেতে পারে। এমনকি যদি ইউক্রেন রুশদের বিপক্ষে দোনবাস যুদ্ধে জয় পায় তাতেও সহসাই এ সংঘাত থামবে না।
তার আশঙ্কা, দোনবাস যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
সূত্রs: বিবিসি