নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০০৩ সালে একটি মারাত্মক তাপপ্রবাহের পর ফ্রান্স গ্রীষ্মের চরম তাপমাত্রার সাথে মোকাবেলা করার জন্য অনেকগুলো ব্যবস্থা চালু করেছে। সেই তাপপ্রবাহে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।
ফ্রান্সের তাপমাত্রা সারা সপ্তাহে বেড়েছে এবং শুক্রবার দক্ষিণ-পশ্চিমে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২.২ ফারেনহাইট) অতিক্রম করেছে। রাতের তাপমাত্রাও অস্বাভাবিকভাবে বেশি এবং সে তাপ আটলান্টিক উপকূলে সাধারণত শীতল অঞ্চল ব্রিটানি এবং নরম্যান্ডিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
ফ্রান্সে, প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কতায় সাড়া দিয়েছে। এই তাপপ্রবাহ দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশকে প্রভাবিত করেছে । দক্ষিণে পাইরেনিস থেকে প্যারিস অঞ্চলের বনাগ্নির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
ভূমধ্যসাগর থেকে উত্তর সাগর পর্যন্ত প্রসারিত গরম বাতাস পশ্চিম ইউরোপে গ্রীষ্মের প্রথম তাপপ্রবাহ নিয়ে আসছে, শুক্রবার লন্ডন থেকে প্যারিস পর্যন্ত তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন যে প্রথম দিকের অস্বাভাবিক এই তাপপ্রবাহ বৈশ্বিক উষ্ণতায় কী হতে চলেছে, এটি তার একটি চিহ্ন, ইউরোপে এ তাপমাত্রা আগে শুধুমাত্র জুলাই এবং আগস্টে দেখা যেত।
জেনেভায় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রতিনিধি ক্লেয়ার নুলিস বলেন, স্পেন এবং ফ্রান্সের কিছু অংশে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির বেশি- এটি বছরের এই সময়ের গড়ের তুলনায় অনেক বেশি।
পর্যটকরা আইফেল টাওয়ারের কাছে ঝর্ণায় তাদের পা ডুবিয়েছিল এবং ভূমধ্যসাগরের পাড়ে একটু স্বস্তি পেতে সেখানে গিয়েছিল।
ব্রিটেন এখন পর্যন্ত বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম দিন রেকর্ড করেছে, দুপুরের পর লন্ডনের কাছে হিথ্রো বিমানবন্দরে তাপমাত্রা ৩২.৪ সেলসিয়াস বা ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে পৌঁছেছে। সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা।