নিজস্ব প্রতিবেদক:
পশ্চিম ইউরোপে মঙ্গলবার ছিল রেকর্ড তাপপ্রবাহের দিন। মহাদেশের বেশিরভাগ অংশ সূর্যের তীব্র উত্তাপে ঝলসে গেছে, তাপমাত্রা রেকর্ড ভেঙ্গেছে এবং ভয়ংকর দাবানল বনভূমি গ্রাস করছে। ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলে জারি করা হয়েছে ‘হিট অ্যাপোক্যালিপস’ সতর্কতা।
ফ্রান্সের আবহাওয়া অফিস বলেছে, ফ্রান্সের চ্যানেল জুড়ে, অনেক শহর ও নগরীতে মঙ্গলবার রেকর্ড সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।
দেশটির উত্তর-পশ্চিমে ব্রিটেনের আটলান্টিক উপকূলের ব্রেস্টে তাপমাত্রা ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। যা ২০০২ সালের ৩৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভেঙেছে। রাজধানী প্যারিসে ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়েসের বেশি তাপমাত্রা।
চ্যানেল উপকূলের সেইন্ট- ব্রিউচ এ পূর্ববর্তী রেকর্ড ৩৮.১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পশ্চিমাঞ্চলীয় সিটি নানটেস এ কয়েক দশকের ৪০ ডিগ্রির রেকর্ড ভেঙ্গে তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দমকল কর্মীরা এখনো দুটি বিশাল দাবানল নেভাতে কাজ করছে।
ব্রিটেনে পূর্ব ইংল্যান্ডের সাফোতে তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০০.৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট), এটি বছরের উষ্ণতম দিন এবং উষ্ণতার রেকর্ডে তৃতীয়তম দিন।
বিশেষজ্ঞরা এ পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করে বলেন, ব্রিটেনের বর্তমান ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভাঙতে পারে, প্রথমবার এটি ৪০ ডিগ্রির রেকর্ড ভাঙতে পারে বলে তারা আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এসব দেশে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে, স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে, লোকজনকে এমনকি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যেতেও বারণ করা হচ্ছে।