সিলেট প্রতিনিধি :
সিলেট নগরীতে চা পরিবেশনে বিলম্ব হওয়াকে কেন্দ্র করে রেস্তোরাঁর এক তরুণ কর্মচারীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (১৩ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে নগরীর কাজিরবাজার মাছ বাজার সংলগ্ন শাপলা হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কর্মচারীর নাম মো. দিনার ওরফে রুমন (২২)। তিনি দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়নের সব্দলপুর গ্রামের মৃত তখলিছ মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নাইটগার্ড আব্বাস মিয়াকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে কাজিরবাজার মাছ বাজার এলাকায় শাপলা হোটেলে চা চেয়ে পরিবেশনে বিলম্ব হওয়ায় নাইটগার্ড আব্বাস মিয়া রেস্তোরাঁর এক কর্মচারীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। প্রথমে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও দুই ঘণ্টা পর তিনি তার দুই ছেলে খোকন মিয়া (২৬), রোহান মিয়া (২৪) ও আরও দু’জনকে নিয়ে হোটেলে ফেরেন এবং কর্মরত দিনার ওরফে রুমনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন।
রক্তাক্ত অবস্থায় দিনারকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার পরপরই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। বিকেলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আব্বাস মিয়াকে আটক করে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত আব্বাস মিয়া ও তার ছেলেরা ১২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারী। জাহাঙ্গীরের ভাই সাবেক কাউন্সিলর সিকান্দর আলী একজন আওয়ামী লীগ নেতা হলেও একই পরিবারের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরেই কাজিরবাজার এলাকায় চাঁদাবাজি, জুয়া, মাদক বেচাকেনা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “কাজিরবাজারে হোটেল কর্মচারী খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আব্বাস মিয়াকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”