ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারী প্রীতি পাটেলের বিরুদ্ধে ৬০ হাজার পাউন্ডের ক্ষতিপুরণের মামলা করেছেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অন্তত ১৮ জন বুদ্ধিজীবি হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি চৌধুরী মঈন উদ্দিন।
ডৈইলি মেইলে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়েছে, গত বছর অক্টোবরে দ্যা ইন্ডিপেনডেন্ট কমিশন ফর কাউন্টারিং এক্সট্রিমিজম কর্তৃক একটি ডকুমেন্টরি প্রকাশ করা হয়। তা চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত হোম অফিসের ওয়েব সাইটে ছিল। ডকুমেন্টরিতে চৌধুরী মঈন উদ্দিনের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
ডকুমেন্টরিটি হোম অফিসের টুইটারে শেয়ার করার পর হোম সেক্রেটারী প্রীতি পাটেল নিজে তা রিটুইট করেন। বিবিসি’র সাংবাদিক মিশেল হুসাইন এবং মানবাধিকার কর্মী পিটার ত্যাচালও তা টুইটারে শেয়ার করেন।
ডকুমেন্টরিতে চৌধুরী মঈন উদ্দিনের কিছু ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। যা তাকে ব্যক্তিগত এবং সামাজিকভাবে হেয় করেছে বলে উল্লেখ করে গত মাসে হাই কোর্টে রীট করেছেন তিনি। ডকুমেন্টরিটি ইইউ’র ঢাটা প্রোটাকশন রেজুলেশন পরিপন্থি বলেও উল্লেখ করেন চৌধুরী মঈন উদ্দিন।
হাইকোর্টে হোম সেক্রেটারী প্রীতি পাটেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা রীটে ৬০ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপুরণ দাবী করেছেন চৌধুরী মঈন উদ্দিন।
উল্লেখ্য বর্তমানে লন্ডনে বসবাসকরছ্ন ৭১ বছর বয়সী চৌধুরী মঈন উদ্দিন। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালে তাকে ফাঁসির রায় দিয়েছে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে বিচার চলাকালে তিনি বাংলাদেশে গিয়ে আদালতে তা মোকাবিলা করেননি।
ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি ইউকের নিন্দা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের উপর মামলার নিন্দা জানিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি ইউকে।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্রিটিশ-বাংলাদেশি চৌধুরী মঈন উদ্দিন (৭১)। ব্রিটিশ এই মন্ত্রীর কাছে ৬০ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মানহানি মামলা করেছেন তিনি। এই মামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখা।
যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সাবেক কাউন্সিলার নূর উদ্দিন আহমেদ এবং সাধারন সম্পাদক জামাল আহমদ খান যৌথ এক বিবৃতিতে
দৈনিক ইনকিলাব ইউকে প্রতিনিধির কাছে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, চৌধুরী মইন উদ্দিন বাংলাদেশে প্রমানিত ও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক যুদ্ধপরাধী।
ব্রিটিশ সরকারে সাম্প্রতিক যে আইন করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধাপরাধীদের ব্রিটেনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার জন্য সেই আইনের আওতায় এই যুদ্ধাপরাধীর তথ্য গোপন করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নেয়া সিটিজেনশীপ বাতিল করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে বিচার সম্পন্নে সহায়তা করা হোক।
এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের উপর যে মানহানি মামলা করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করার দাবী জানান।