গ্রীস প্রতিনিধি :
গ্রিসের এথেন্সে মুসলিম কবরস্থানের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রীস এর সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জি এম মোখলেছুর রহমান তিনি এক বিবৃতিতে উল্লেখ করে বলেন বৈশ্বিক করোনা মহামারী ভাইরাসের পাদুর্ভাব দ্বিতীয় দফায় গ্রীস সহ সমগ্র বিশ্বে ব্যাপক আকার ধারণ করছে, আলহামদুলিল্লাহ আমরা যারা গ্রীসে অবস্থান করছি প্রথম দফায় গ্রীস সহ বাংলাদেশীরা খুবই ভালো ছিলো, কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো দ্বিতীয় দফায় আমাদের পরিচিত মহল, পাশাপাশি বাংলাদেশী অনেকেই করোনা পজেটিভ নিয়ে চিকিৎসাধীন এবং অনেকেই মৃত্যুবরন করেছে।
বর্তমানে গ্রীস সহ বহিঃবিশ্বের করোনায় মৃত লাশ কোন বিমানের মাধ্যমে নিজ দেশে প্রেরণ করা যাচ্ছেনা, ইতিমধ্যে অনেক গুলো লাশ এথেন্স এর হিমাগারে রয়েছে।
মূল সমস্যা হলো গ্রীসের রাজধানী এথেন্স এ মুসলমানদের কোন কবরস্থান নেই। ইতিপূর্বে এ-বিষয়টি আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়েছে। ইতিমধ্যে নয়া-মানোলদায় এক দুই জনকে কবর দেওয়া হয়েছে কিন্তু নির্দিষ্ট মুসলমানদের কবরস্থানে নয়। ইতিপূর্বে এথেন্সে খৃষ্টানদের নির্দিষ্ট সমাধিস্হলে এক বাংলাদেশী ভাইকে সমাধিত করা হয়েছে।
প্রত্যেক নর-নারীকে মৃত্যুর স্বাধ গ্রহণ করতে হবে, পরকাল হলো মানব জাতির চিরস্হায়ী ঠিকানা, মুসলিম কবরস্থানের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ও অনেকের সাথে আলাপ আলোচনা করছি, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া,এবং আফ্রিকার মুসলিম দেশের সকল এম্বেসীর কর্তৃপক্ষ এবং মুসলিম সকল কমিউনিটি, পাশাপাশি গ্রীসের মুসলিম নেতৃবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতায় গ্রীস সরকারের সাথে আলোচনা অত্যন্ত জরুরি।বিশ্বের সকল দেশেই সকল ধর্মের লোকজনদের জন্য শেষ সমাধিস্থল রয়েছে, গ্লোবাল বিশ্বে এটা সময়ের দাবী। গ্রীসে স্হায়ী ভাবে অনেক মুসলমান রয়েছে, গ্রীসের রেসিডেন্স পারমিট, এবং অনেক মুসলিম গ্রীস পাসপোর্ট নিয়ে বসবাস করছেন। সুতরাং ধর্মপ্রাণ মুসলিম নেতৃবৃন্দ ও সকল মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূত গনকে অনুরুধ করে বলেন বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সহিত বিবেচনায় এনে আলোচনা সাপেক্ষে এথেন্সে সকল মুসলিম ভাইদের জন্য একটি কবরস্থান স্হাপন করার জন্য। গ্রীস সরকারের উঁচু মহলের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।