অনুক্ত কামরুল :
সিলেটে বিএনপির এক সময়ের সাহসী নেতা ও জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট সামছুজ্জামান জামান আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন—এমন গুঞ্জন জোরালো হচ্ছে। লন্ডনভিত্তিক এক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, দলের হাইকমান্ডের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর তার রাজনীতিতে ফেরার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত।
দলীয় কর্মীদের কাছে ‘জামান ভাই’ নামে পরিচিত এই নেতা একসময় সিলেট বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন অগ্রণী মুখ। বিশেষ করে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল এম. ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের পর সিলেটে যে ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে ওঠে, তার সম্মুখ সারিতে ছিলেন এডভোকেট জামান। রাজপথে সক্রিয় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি দলের অভ্যন্তরেও প্রশংসিত হন।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি রাজনীতির বাইরে রয়েছেন। পার্টির সুসময়ে নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নেওয়ায় তিনি নানা সময়ে সমালোচনারও মুখে পড়েছেন। তা সত্ত্বেও সিলেটের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে তার অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই—তাঁর হাত ধরেই বিএনপির অনেক তরুণ নেতা গড়ে উঠেছেন।
সাম্প্রতিক সূত্র বলছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ কেন্দ্রীয় অনেক শীর্ষনেতা চান জামান আবারো সক্রিয় হোন। এমনকি গত সপ্তাহে ঢাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে তাঁর রাজনীতিতে ফেরার ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিলো, তবে সিলেট বিএনপির এক নেতার অনীহায় তা সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, দলের হাইকমান্ডের অধিকাংশ সদস্য জামানকে ঘিরে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করলেও, সিলেট বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩-৪ জন নেতা চান না তিনি আবার রাজনীতির মূলধারায় ফিরুন। এতে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এডভোকেট জামানের সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে ফেরার ঘোষণা আসতে পারে। তাঁর অনুসারী অনেকেই ইতিমধ্যে সামাজিকভাবে সক্রিয় হয়েছেন এবং ‘জামান ভাই’র প্রত্যাবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
দলীয় রাজনীতিতে এক সময়ের প্রভাবশালী এই নেতার প্রত্যাবর্তন বিএনপির সিলেট অঞ্চলের রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।