বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য বাগেরহাটের মোংলা থানা–পুলিশের ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মোংলা বাসস্ট্যান্ড শ্রমিক প্রেরণ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) পংকজ চন্দ্র রায়। এ সময় তিনি বাছাই করা ৫৭ জন কৃষিশ্রমিককে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেন।
এসপি পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, জেলার মোংলাসহ বেশ কিছু জায়গায় বোরো ধানের চাষ হয় না। এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ মৎস্য চাষের ওপর নির্ভরশীল। তাই এ সময় এখানকার কৃষিশ্রমিকেরা বিভিন্ন জেলায় ধান কাটতে যান। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে শ্রমিকেরা ধান কাটতে যেতে পারছেন না। তবে পুলিশের এই উদ্যোগের ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকের ধান কাটায় যেমন সুবিধা হবে, তেমনি মাড়াই করার কাজে যাওয়া শ্রমিকদের আর্থিক সচ্ছলতা আসবে। বাংলাদেশের চাহিদানুযায়ী খাদ্য মজুতও নিশ্চিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ এ বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।
মোংলা থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘জীবাণুনাশক স্প্রেসহ ধান কাটার সহস্রাধিক শ্রমিককে মোংলা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হবে। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকে শুরু করে নিরাপদে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত পুরো বিষয়টি তদারক করছে মোংলা থানার পুলিশ। যেহেতু এখন সারা দেশই ঝুঁকির মধ্যে, তাই তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমরা দেখছি।’