মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম:
কাওসার আহমদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ। সিলেটে লেখাপড়া শেষ করে এখানেই চাকরী করছেন একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে। বাসা নগরীর আম্বরখানা এলাকায়।
করোনার প্রভাবে ঈদে এবার বাড়ি যেতে পারেননি। সকালে নামাজ শেষ করে মেসেঞ্জারে কথা বলেছেন পরিবারের সবার সঙ্গে।
ছোট বোন ও ভাতিজা ভাতিজিদেরকে বিকাশে ‘সালামি’ও পাঠিয়ে দিয়েছেন। দুপুর পর্যন্ত আরও অনেকের সঙ্গে ভিডিও কলে কুশল বিনিময় করেছেন।
আয়শা তাহসিন দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের একজন ছাত্রী। করোনার প্রভাবে কলেজ বন্ধ। এরই মধ্যে এসেছে ঈদ। আত্বীয় স্বজন ও কলেজ ফ্রেন্ডসদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের প্রধান ও বর্তমানে একমাত্র মাধ্যম মোবাইলে ভিডিও কল। তাই ঈদের দিন সকাল থেকেই ভিডিও কলে আড্ডা দিয়েই সময় কাটছে তার।
আয়শা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঈদের আনন্দটা মাটি হয়ে যেতো এই অনলাইন ব্যবস্থা না থাকলে।
করোনাকালের এই নিঃসঙ্গ কাওসার আহমদ কিংবা আয়শার মতো ১.৮ বিলিয়ন মুসলিমের অধিকাংশ জনই এভাবে প্রযুক্তিকে সঙ্গী করছেন। তবে ব্যতিক্রম চিত্রও আছে।
অন্য যেকোনো বছরের চেয়ে এই ঈদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উৎসবের আমেজ বেশি। ভার্চুয়াল ই-কার্ড থেকে শুরু করে ফেইসবুক অনলাইনে শুভেচ্ছা বার্তায় রীতিমতো বন্যা বয়ে গেছে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়লেও বাংলাদেশে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে মার্চ থেকে। শুরুতে নিতান্ত কম থাকলেও দিনকে দিন আক্রান্তের হার বাড়ছে। এমনকি ঈদের দিন এসেছে সর্বোচ্চ আক্রান্তের খবর।
সরকারি তথ্য মতে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৭৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন আরও ২১ জন।
এমন পরিস্থিতিতে ঈদের পর ছুটি আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।