রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
রোববার সকালে সোবহানবাগ জামে মাসজিদে এবং বনানী কবরস্থানে দুই দফা জানাজার পর নাসিমকে বেলা ১১টার দিকে দাফন করা হয় বলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান।
বনানীতে জানাজা শেষে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিমকে। জাতীয় ও দলীয় পতাকায় মোড়া কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে।
আওয়ামী লীগ, চৌদ্দ দল, জাসদ ছাড়াও আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপতিম সংগঠন যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকও লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় নাসিমের কফিনে।শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নানক বলেন, “মোহাম্মদ নাসিম ভাইকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ এবং দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হারিয়েছেন বিশ্বস্ত হাতিয়ার। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ছিল মোহাম্মদ নাসিম ভাইয়ের।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধা, অসম সাহসের অধিকারী, জনবান্ধব আপসহীন নেতা ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি তিনি ছিলেন অবিচল।”
শেষ বিদায়ের আগে একাত্তরের রণাঙ্গনের এই যোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বনানীতে আসেন গণস্বাস্থ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছিল ৭২ বছর বয়সী নাসিমের। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শনিবার সকালে মারা যান আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর ছেলে নাসিম সংসদে ষষ্ঠবারের মতো সিরাজগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।
এবার মন্ত্রিত্ব না পেলেও দলের সভাপতিমণ্ডলীতে থাকার পাশাপাশি ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন নাসিম। খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিও ছিলেন তিনি।