করোনাভাইরাস সনাক্ত করার জন্য চীন থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমদানি করা র্যাপিড টেস্ট কিট নিয়ে এক ধরণের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতাদের উদ্যোগে এসব র্যাপিড টেস্ট কিট বিতরণও করা হয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে ‘করোনাভাইরাস শনাক্ত’ করার জন্য এসব কিট ব্যবহার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য এবং ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, এসব র্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহারের কিছু বিপদ রয়েছে।
তিনি বলেন, এগুলোর মান সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হতে না পারলে পরীক্ষার ফলাফল ভুল হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।
সেজন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দ্বারা এগুলোর মান নির্ণয় করা জরুরি। কিন্তু এসব র্যাপিড কিট আমদানির ক্ষেত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কোন অনুমোদন নেয়া হয়নি।
বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য সম্প্রতি র্যাপিড টেস্ট কিট উদ্ভাবনের দাবি করলেও সেটিকে অনুমোদন দেয়নি বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেছিলেন, গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত র্যাপিড টেস্ট কিটের মাধ্যমে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ভুল ফলাফল আসতে পারে। এখানে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ফলস নেগেটিভ ফলাফল আসে। সূত্রঃ বিবিসি