বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মসজিদে রূপান্তরিত হতে পারে আয়া সুফিয়া




আবার মসজিদে রূপান্তরিত হতে পারে আয়া সুফিয়া। ক্ষমতাসীন জাস্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একে পার্টি) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা স্থাপনাটিকে মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। ১৯৩৪ সাল থেকে এটি কার্যত জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিট ক্যাভুসোগলু বলেছেন, আয়া সুফিয়ার মর্যাদার বিষয়টি আন্তর্জাতিক নয়, এটি তুরস্কের জাতীয় সার্বভৌমত্বের বিষয়। ক্যাভুসোগলু বৃহস্পতিবার তুরস্কের জাতীয় সংবাদ চ্যানেল এনটিভিতে একটি সরাসরি সম্প্রচারে বলেছেন, আয়া সোফিয়ার অবস্থান নিয়ে তুরস্ক চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এটি জাদুঘর হিসেবে থাকবে নাকি মসজিদে পুনর্র্নিমাণ করা হবে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর তুরস্কের ক্ষমতায় আসেন কামাল আতাতুর্ক। তিনি খেলাফতের অবসান ঘটিয়ে সেক্যুলার ধারার প্রচলন করেন।

খ্রিস্টান বিশ্বের সাথে দৃশ্যত সমঝোতার প্রয়াস হিসেবে ১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়। ওই সময় থেকে স্থাপনাটির ম‚ল অংশটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আর হানকার কাসরি নামের ছোট একটি স্থান মুসলিমরা নামাজ পড়ে থাকে। আয়া সুফিয়া ১৪৫৩ সাল থেকে তুর্কিদের অধীনে রয়েছে। সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদ ওই বছর বায়জান্টাইনদের কাছ থেকে ইস্তাম্বুল জয় করেন। তিনি ওই সময়ের নিয়ম অনুসরণ করে এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। তবে এই কাজ করার সময় তিনি এর ঐতিহাসিক কাঠামোর কোনো ক্ষতি করেননি। খ্রিস্টান বিশ্বের কাছে এই স্থাপনাটির বিশেষ ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষ করে বায়জান্টাইন উত্তরাধিকারের ধারক হিসেবে পরিচিত গ্রিকরা দাবি করে আসছে যে এই স্থাপনায় কোনো পরিবর্তন আনার অধিকার তুরস্কের নেই।

আয়া সুফিয়া হলো খ্রিস্টানদের নির্মিত বিশ্বের প্রাচীনতম ক্যাথেড্রালগুলোর একটি। ৫৩৭ সালে বায়জান্টাইন সম্রাট প্রথম জাস্টিয়ান এটি নির্মাণ করেন। এর বিশাল গম্বুজটি অনন্য। এটি খ্রিস্টানদের কাছে দুনিয়ার বুকে সবচেয়ে পবিত্র স্থানগুলোর অন্যতম। এই স্থাপনাটি তুরস্কের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। প্রতি বছর এর সৌন্দর্য দেখতে বিপুলসংখ্যক লোক তুরস্কে যায়। ডেইলি সাবাহ।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: