যারা বিশাল ধনী তারা চাইলেই এখন একটি ব্যক্তিগত দ্বীপের মালিক হতে পারেন। শুধু পছন্দের লোকেশন জানিয়ে দিলেই তৈরি করে দেয়া হয় তার ব্যক্তিগত দ্বীপ। এমনটি স্বপ্ন মনে হলেও এখন আর তা স্বপ্ন নয়।
কারণ বাস্তবেই জানা গেছে বিশ্বের প্রথম পোর্টেবল দ্বীপ তৈরির কথা। পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বীপগুলো পরিবেশবান্ধব এবং নিজে নিজেই টিকে থাকতে সক্ষম। ফলে যারা অত্যন্ত ধনী তারা পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় তাদের অবসর যাপনের দ্বীপ তৈরি করে নিতে পারেন। দ্বীপের প্রতিটি বাড়ি তার গ্রাহকের সুযোগ-সুবিধায় পরিপূর্ণ। যেমন সুইমিং পুল, নৌকার পোতাশ্রয়, সবুজ বাগান- এসব কিছুই আছে সেখানে।
এছাড়া প্রতিটি দ্বীপের পরিবেশগত প্রভাব সর্বনিু পর্যায়ে রাখতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এ পরিকল্পনা বা উদ্যোগের পেছনে রয়েছে আমিল্লারাহ প্রাইভেট আইল্যান্ড। এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে ডাচ ডকল্যান্ডস নামের ভাসমান স্থাপনা নির্মাণের একটি কোম্পানি। এ কোম্পানি গ্রাহকদের জন্য যে কোনো আকৃতির দ্বীপ নির্মাণ করে দেয়।
ডাচ ডকল্যান্ডস এই প্রজেক্টের জন্য ক্রিস্টিস ইন্টারন্যাশনাল রিয়াল এস্টেটের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে কাজ করছে।
ক্রিস্টিস ইন্টারন্যাশনাল রিয়াল এস্টেটের প্রধান নির্বাহী ড্যান কন বলেন, ‘সত্যি সত্যিই পানির ওপর ব্যক্তিগত দ্বীপ তৈরির সুযোগের ক্ষেত্রে ডাচ ডকল্যান্ডসের দক্ষতা প্রমাণিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিস্তৃত পরিসরের বিভিন্ন লোকেশনে ক্রেতারা তাদের বাসস্থানের আকার ও ধরন পরিবর্তন করতে পারবেন। শুরুতেই মালদ্বীপে তারা এই সুযোগ পাচ্ছেন।’
কোম্পানিটি ইতিমধ্যে মালদ্বীপ সরকারের সহায়তায় ১০টি স্থাপনা তৈরি করেছে। বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে। দ্বীপগুলোর ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত ডাচ আর্কিটেক্ট কোয়েন অলথিয়াস। পৃথিবীর যে কোনো স্থানে দ্বীপ তৈরির কথা বললেও সংশ্লিষ্ট দেশের জলসীমায় এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি বা আইনগত দিক সম্বন্ধে কোনো কিছু জানায়নি কোম্পানিটি।