বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদে পর্যটকশূন্য কক্সবাজার




ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এবার পর্যটকশূন্য কক্সবাজার। ঈদের পরে লাখো পর্টকে মুখরিত হয়ে উঠত পর্যটন শহর কক্সবাজার, বিস্তীর্ণ সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো ।

এবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হল করোনা পরিস্থিতির দীর্ঘ লকডাউনে। সম্ভবত এই প্রথম ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজারে কোন পর্যটক আসেননি। করোনাকালীন দীর্ঘ লকডাউনে এখনো ফাঁকা কক্সবাজার। পর্যটকশূন্য বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত।

হোটেল মোটেল গুলোতে বিরাজ করছে অন্যরকম পরিবেশ। এতেকরে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা। প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজার থাকে লোকে লোকারণ্য। লাখো পর্যটকের ভিড়ে কক্সবাজার হয়ে উঠে সরগরম।

এই বিশাল সংখ্যক পর্যটকদের থাকা খাওয়া ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজারের পাঁচতারাকা হোটেল থেকে শুরু করে সাধারণ হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলোয় থাকে জমজমাট অবস্থা।

এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে উঠে। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের স্বাগত জানাতে হোটেল রেস্তোরাঁ গুলো পবিত্র রমজান মাস থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকত। কিন্তু এবার ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজারে কোন পর্যটক আসছেননি। তাই হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলোয় গেইট বন্ধ, জ্বলছেনা বাতিও।

হোটেল মোটেল গেষ্টহাউজ সমিতির নেতা আলহাজ্ব আবুল কাসেম সিকদার এ বিষয়ে বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউন তো মেনে নিতেই হচ্ছে। তবে ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ কোটি টাকার টার্ন ওভার বন্ধ হয়েগেছে। এছাড়াও ৫শ মত হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলো পর্যটন মৌসুমে ৫ শত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ঈদুল ফিতরের পরে করোনা সংক্রমণ নিরাপত্তা বিষয়ে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলোর কর্মচারীদের নিয়ে তারা একটি সেমিনারের আয়োজন করতে যাচ্ছেন।

হোটেল মোটেল জোন সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, পাঁচতারাকা হোটেল সীগাল, সইমান রিসোর্টসহ সব নামীদামী হোটেল থেকে শুরু করে সাধারণ হোটেল গুলোর গেইট বন্ধ। ভেতরে লাইটও জ্বলছেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেল মালিক বলেন, পর্যটন মৌসুমে নতুন করে কর্মসংস্থান হতো সহস্র কর্মহীন মানুষের। পর্যটনকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠত কক্সবাজারের সব ধরণের ব্যবসা বাণিজ্য। কিন্তু এবারে দীর্ঘ লকডাউনে কক্সবাজারের হোটেল রেস্তোরাঁ গুলো বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়েছে শত শত কর্মচারী। ব্যবসা বাণিজ্যতো লাঠে উঠেছে বহু আগেই।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: