যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে ব্যাপক। বাড়ির মূল্য বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অবশ্য লাভবানও হচ্ছেন অনেকে। মাত্র কয়েক বছর আগে কেনা বাড়ির মূল্য বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে তাদের বাড়ি বিক্রি করে অন্য খাতে বিনিয়োগ করার চিন্তা করছেন। নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশী আমেরিকানদেরও অনেক বাড়ি আছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৮ কোটি ৩০ লাখ মানুষের নিজেদের বাড়ি রয়েছে বলে এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে।
মোট কর্মী সংখ্যার প্রায় অর্ধেকের রিটায়ারমেন্ট একাউন্ট আরও স্ফীত হয়ে ওঠেছে স্টক মার্কেটে দীর্ঘকাল যাবত বিনিয়োগ করার কারণে। যারা নিজ বাড়ির মালিক, তাদের বাড়ির মূল্য বৃদ্ধি তাদের ভাগ্যকে আরও উজ্জ্বল করেছে।
কিন্তু এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তেমন কোনো আলোচনা নেই। যে দেশে চমক সৃষ্টিকারী খবরও কয়েক ঘন্টার মধ্যে বাসি হয়ে যায়, সেখানে স্থাবর সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কেউ মাথা ঘামান না। অনেকে নিজ বাড়িতে বাস করেন। তারা কখনও বাড়ি বিক্রয় করার কথা ভাবেন না। কিন্তু যারা রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করেন, তারা বাড়ি কেনার সম্ভাব্য ব্যক্তি, তাদের ও মালিকদের সম্পদের মধ্যে অসমতার কথা ভাবেন।
অস্থির স্টক মার্কেট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বাড়ির বর্তমান মূল্য দ্রুততার সঙ্গে বৃদ্ধি পেলেও তা অচিরেই শেষ হবে। অর্থনীতিতে মন্দা আসবে, মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে, জ্বালানির মূল্য এবং যেকোনো বিনিয়োগে ব্যাংকের সূদের হার যেভাবে বৃদ্ধি পাবে তাতে বিগত বছরগুলোতে স্থাবর সম্পদ, বিশেষ করে বাড়ির মূল্যে আয়ের যে স্বপ্ন দেখতেন তা সামান্যই অর্জিত হবে।
গত মার্চ মাসে ৪৫ লাখ লোক স্বেচ্ছায় তাদের কাজ ত্যাগ করেছে। ব্যুরো অফ লেবার স্ট্যাটিসটিকস বলছে, এটাই ছিল চাকুরি ত্যাগের সর্বোচ্চ সংখ্যা। কয়েক বছর আগে স্বেচ্ছায় কাজ ছেড়ে দেওয়ার মাসিক গড় ছিল ৩০ লাখ থেকে ৩৫ লাখ।
প্রতিটি অর্থনৈতিক লেনদেনের বিভিন্ন দিক থাকে। ২০০০ সালে কেউ বাড়ির দাম কম বলে ভাবতো না। কিন্তু ছয় বছর পর বাড়ির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায় এবং দেশের যেকোনো স্থানে ভাড়াটেদের পক্ষে বাড়ি কেনা বাস্তবে অসম্ভব হয়ে পড়ে। এক দশক আগে হাউজিং মার্কেট চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে ছিল। পরিস্থিতি এমন শোনীয় অবস্থায় চলে গিয়েছিল যে বাড়ির জন্য নেয়া ঋণের মর্টগেজ পরিশোধ করতে না পারায় ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে ৭০ লাখের অধিক বাড়ি ফোরক্লোজারে চলে যায়।