নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফ্রান্সে আফ্রিকান সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হলেন বাংলাদেশী প্রবাসী সোহেল রানা (৩৫)। গত শনিবার ভোরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ ঘটনায় কমিউনিটি জুড়ে বইছে শোকের ছায়া। নিহতের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানায়। নিহতের ঘটনায় রেস্টুরেন্টের মালিক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত সোহেল রানার দুই বছরের এক শিশু সন্তান রয়েছে। তিনি স্ত্রী ও শিশু সন্তানসহ প্যারিসের নিকটবর্তী লাকর্নভ এলাকায় বসবাস করতেন। ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইর উদ্দেশ্যেই সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে- সোহলে রানা রাজধানী প্যারিসের ঐতিহাসিক স্থাপনা বাসতিলের একটি রেস্টুরেন্টে রাতের বেলা কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার ভোর ৫টার দিকে তিনি রেস্টুরেন্ট থেকে বের হলে রেস্টুরেন্টের সামনের আফ্রিকান সন্ত্রাসীরা তার উপর আক্রমন চালায়। এ সময় তার মাথায় আঘাত করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে পথচারীরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সোহেল রানার আর জ্ঞান ফেরে নি।
প্যারিসে চুরি-ছিনতাই বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে অসংখ্য বাংলাদেশী প্রবাসী এসব ছিনতাইর ঘটনার শিকার হলেও এমন নির্মম খুনের ঘটনা এই প্রথম। আর তাই শোকের পাশাপাশি ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ প্রবাসীরা। প্রশ্ন তুলেছেন- এসব ঘটনা থামাতে আমাদের কি কিছুই করার নেই! অনেকেই নানা রকম আন্দোলনের ডাক দেয়ার কথা বলছেন।
সোহেল রানার খালাতো সংগীতশিল্পী মিজান রাহমান বাংলা টেলিগ্রামকে বলেন- নিহত সোহেল রানা একজন সহজ সরল মানুষ ছিলেন। কারো সাথে তার বিরোধ থাকার কথা না। ছিনতাইর উদ্দেশ্যেই এই হামলা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা।
তিনি জানান- এ ঘটনায় রেস্টুরেন্টের মালিক বাদী হয়ে ইতোমধ্যে পুলিশে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাসও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে। ময়না তদন্তের পর লাশ দেশে পাঠানোর দিনক্ষণ ঠিক করা হবে বলে তিনি জানান।