নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি পুনর্বিবেচনা করতে ইউনেস্কোকে আহ্বান জানানো হয়েছে। কবি, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং গবেষক আবু জুবায়ের ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ড. অড্রে আজুলেকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে এ আহ্বান জানান।
আবু জুবায়েরের মতে, এই ভাষণটি স্বাধীনতার সুস্পষ্ট আহ্বান ছিল না এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হওয়ার উপযুক্ত নয়।
আবেদনে বলা হয়, ৭ই মার্চের ভাষণটি ছিল পাকিস্তানি শাসকদের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য আলোচনা শুরু করার একটি প্রচেষ্টা, যা স্বাধীনতার ঘোষণা নয়। তিনি আরও বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মতো নেতা তখনও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এর পর মেজর জিয়াউর রহমানের ২৬-২৭ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা ছিল প্রকৃত মোড় ঘোরানো ঘটনা, যা মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল বলে অনেকেই মনে করেন।
চিঠিতে আরও তুলে ধরা হয়েছে যে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন সরকার বহুদলীয় গণতন্ত্র বিলুপ্ত করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা রাজনৈতিক দমন-নিপীড়নের জন্ম দেয়। এছাড়াও, সাম্প্রতিককালে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগও উত্থাপন করা হয়েছে। শেখ মুজিবের কন্যাও তাঁর পিতার পদাঙ্ক অনুসরন করেই জনগণের উপর দমন পীড়ন চালিয়ে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
“ইউনেস্কোর উচিত ৭ই মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি দিতে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস প্রতিফলিত করা,” মন্তব্য করেন আবু জুবায়ের। “কিন্তু ৭ই মার্চের ভাষণটি কোনো স্বাধীনতার আহ্বান ছিল না এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মাইলফলক হিসাবেও এটি বিবেচিত নয়। বরং মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার স্বীকৃতি দিলে মুক্তিযুদ্ধের একটি সঠিক ও ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি উঠে আসবে।”
চিঠিটির কপি বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং ফ্রান্সে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে।