বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শবে বরাত। হাদীস শরীফে যা ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ শব্দে এসেছে। মহিমান্বিত রজনী হিসেবে মুসলিম সমাজে শবে বরাতের গুরুত্ব অনেক। এ রাতে মানুষ ইবাদত বন্দেগীতে সময় পার করে এবং দিনে রোজা রাখে।
কিন্তু করোনাভাইরাসের ক্ষতি থেকে বাঁচতে বর্তমানে অনেক জেলা-উপজেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাতে সীমিত উপস্থিতির পরামর্শ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আলেম সমাজ।
শবে বরাতের ইবাদত সম্পর্কে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী বলেন, শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে সহীহ ইবনে হিব্বানের হাদীসে এসেছে, ‘অর্ধ শাবানের রাতে আল্লাহ তায়ালা আপন সৃষ্টির প্রতি বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেন। অতঃপর মুশরিক ও (মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে) শত্রুতা পোষণকারী ছাড়া সমস্ত মাখলুককে ক্ষমা করে দেন।’
তাই এই রাতে জেগে থেকে অধিক পরিমাণে আমল করা উচিত। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাসহ সব রোগ থেকে মুক্তির জন্য বিশেষভাবে দোয়া করুন।
তিনি বলেন, শবে বরাতে একাকী ইবাদত করা রাসূল সা.-এর সহীহ হাদীস ও আছারে সাহাবা (সাহাবীদের আমল) থেকে প্রমাণিত। তাই বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করুন। নিজেদের কৃত গুনাহ থেকে তওবা করুন। মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। জিকির করুন। দান-সদকা করুন। কবর জেয়ারত করুন। পরিবার পরিজনকে দীনি কাজে বেশি বেশি সম্পৃক্ত করুন।
আল্লামা শফী আরও বলেন, শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশে বেশ কিছু রসম ও কুসংস্কার চালু রয়েছে। অনেকে হালুয়া রুটির ব্যবস্থা ও মসজিদ আলোকসজ্জা করে থাকেন। নির্দিষ্ট পরিমাণ রাকাতে জামাত সহকারে নামাজ পড়ে থাকেন। এ সব বিদআত কাজ। তাই বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়িতে না গিয়ে নিজ নিজ ঘরে একাকী ইবাদতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করা উচিত।