দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১৭০০ ছাড়িয়েছে। সংক্রমণের সংখ্যাও ১ লাখ ৩৮ হাজার ছুঁই ছুঁই।
এই সময়ে ৩ হাজার ৮০৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০৯ জন এবং মোট সুস্থ ৫৫ হাজার ৭২৭ জন।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, গত ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৩৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পূর্বের নমুনাসহ ১৮ হাজার ৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৮০৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৩১ জন ও নারী ১৪ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ১ হাজার ৭৩৮ জন।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ ৫৫ হাজার ৭২৭ জন।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, বয়স বিভাজনে ২১-৩০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৭ মারা এবং ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
নাসিমা জানান, বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রামে ১০ জন, রাজশাহীতে ২ জন, সিলেটে ৩ জন, খুলনায় ৩ জন, রংপুরে একজন, বরিশালে ৩ জন এবং ময়মনসিংহে একজন মারা গেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে ৩০ জন ও বাড়িতে ১২ জন মারা গেছেন। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।