জুবায়ের আহমেদ শিশু, ইতালি থেকে :
৩০ আগষ্ট রবিবার তিলোত্তমা নগরী মিলানের লাম্পুনিয়ানো মাঠে “ফ্রেন্ডস সোসাইটির উদ্যেগে “ছয় এর চার” খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মহামারী করোনার প্রাদূর্ভাবে দেশটির আইনানুযায়ী প্রায় সাত মাস খোলা মাঠে সকল খেলাধুলা বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আবারো ক্রিকেট খেলার আনন্দে মেতে ওঠে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী তরুণরা।
নতুন উদ্দোমে চোখে স্বপ্ন নিয়ে একই দিনে উদ্বোধনী ও সমাপনী খেলার অঙ্গিকারে রবিবার মিলানের মাঠে নামে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটপ্রেমী।সূর্য ওঠার সাথে সাথে শুরু হয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের খেলা।
এতে সর্বমোট সাতটি দল অংশ নেয়।
খেলায় প্রতি দলে মোট সাতজন করে খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয় এবং প্রতি দল ছয় ওভার করে খেলার সুযোগ পায়। দিনব্যপী খেলা চলতে থাকে।
এতে সব দলকে হারিয়ে ফাইনাল ম্যাচে খেলার সুযোগ পায় ‘ভিয়া পাদোভা অল স্টার টিম’ ও ‘সিলেট স্পোর্টিং ক্লাব’।
এ সময় ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ‘সিলেট স্পোর্টিং ক্লাব’। এতে ছয় ওভারে ৫৪ রান সংগ্রহ করে মাঠ ছাড়ে দলটি।
পরে ৫৫ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে মাদারীপুরের দল “ভিয়া পাদোভা অল স্টার টিম”।
ব্যাটিং’র দারুণ নৈপুণ্যে এক ওভার হাতে রেখেই জয় লাভ করে “ভিয়া পাদোভা অল স্টার টিম”!উন।চারিদিকে সবুজ গাছগাছালি আর খোলা আকাশের নীচে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে বিজয়ের আনন্দে।
দীর্ঘদিনের বন্দীদশা থেকে যেন মুক্তি পেলো এরা।
পরন্ত বিকালে আলো-আঁধারির মাঝে এক ধরনের পরিবেশ বিরাজ করে আর এরই মাঝে জড়ো হতে থাকে মাঠের সকল খেলোয়ার,দর্শক এবং কমিউনিটি’র বিশিষ্ট জনেরা।
শুরু হয় পুরষ্কার বিতরণের পালা।এতে সভাপতিত্ব করেন, ফাইনাল খেলার আহবায়ক জুুবায়ের আহমেদ শিশু এবং অনুষ্ঠানরি পরিচালনা করেন বিল্লাল হুসেন প্রধান আয়োজক ও সুলাইমান।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিলান বাঙলা প্রেস ক্লাব উপদেষ্টা এবং শিকড় টিভির পরিচালক তুহিন মাহামুদ,
বিশেষ অতিথির পদ আসন অলংকৃত করেন,চ্যানেল এস মিলান প্রতিনিধি এবং প্রেস ক্লাব সম্মানিত সদস্য আব্দুল বাছিত দলই,
লোম্বারদিয়া আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মামুন হাওলাদার,
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রুহুল আমিন রাহুল,
বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা ফয়সাল খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্য বলেন,প্রবাসের মাটিতে শত কর্মব্যস্ততার মাঝে এ ধরনের সত্যিই কঠিন কাজ তারপরও বাংলাদেশী এই তরুণেরা দেখিয়ে দিয়েছে বাঙালীরা ইচ্ছে করলে সব কিছুই পারে।
শরীর এবং মনকে সূস্হ রাখতে হলে খেলাধুলা জরুরী।আয়োজকদেরকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান এই উদ্যেগ গ্রহন করার জন্য।
এবং ভবিষ্যতেও যেন এই ধারা অব্যাহত থাকে সে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন
,তিনি খেলোয়ারদের উদ্দেশ্যে বলেন,”খেলায় অংশ গ্রহন করাটাই বড় কথা,বিজয়ী হওয়া নয়”।
অতিথিদের বক্তব্যের শেষে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন দলের অধিনায়ক এবং আয়োজকবৃন্দ।
এরপর বিজয়ীদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আয়োজকরা হলেন
সুল্মান, কনক, ইয়াছিন, রমজান, শিবলু,মনির,,আশ্রফুল, নিক্সন
আনুয়ার, প্রমুখ।
খেলার মাঠে দর্শক সারিতে ছিলেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকগণ এবং বাংলাদেশী কমিউনিটির সাংবাদিকবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।