আব্দুল্লাহ আল শাহীন:
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় গত ৩১ ডিসেম্বর হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ ক্ষমার গুজব ছড়িয়ে পড়ে৷ গুজবের ভিত্তিতে শারজাহ মেগামলের পেছনে মালুমাত সেন্টারে ভিড় করতে থাকেন অবৈধভাবে বসবাসরত প্রবাসীরা৷ ১৩০ দিরহাম দিয়ে প্রবাসীরা জরিমানা মওকুফের আবেদন করেন। প্রথম দিন ভিড় কম হলেও দ্বিতীয় দিন হাজারো মানুষ ভিড় করেন৷ এতে করোনার বিধিনিষেধ অমান্য করা হয়৷
স্থানীয় গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমার খবরটি ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে গণমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হতো বলে জানায় প্রশাসন।
এদিকে শারজাহ পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিস্টদের শাস্তির আওতায় আনতে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ যাচাই-বাছাই না করে এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রচার করে বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে৷ তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেও পুলিশ জানায়৷
আরব আমিরাতে গুজব ছড়ানোর অভিযোগের শাস্তি সর্বনিম্ন ১ বছরের জেল ও ১০০০০০ দিরহাম জরিমানার বিধান রয়েছে।
জরিমানা মওকুফের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশি মালিকানাধীন আমের সেন্টারের ম্যানেজার কামাল হোসেন সুমন জানান, জরিমানা কমানোর আবেদন যেকোনো টাইপিং বা আমের সেন্টার থেকে করা যায়৷ আর আবেদন মানেই সাধারণ ক্ষমা নয়৷ এমনকি এই আবেদন করলেই যে বৈধ হওয়া যায় বিষয়টিও এমন নয়৷ এটা জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন মাত্র৷ হয়তো অনেকে না বুঝে গুজব ছড়িয়েছেন৷