অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে গেলেন হরিদ্বার ধর্মসংসদে মুসলিমদের খুনের হুমকি দেয়া ধর্মগুরু জীতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগী। মঙ্গলবার ত্যাগীকে ৩ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে শীর্ষ আদালতের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ত্যাগীর শারীরিক অসুস্থতার কথা ভেবে তাকে ৩ মাস জেলের বাইরে থাকার অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
তবে জামিন দিলেও জীতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগীর উপর শর্ত আরোপ করা হয়েছে। শীর্ষ আদালতের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ ত্যাগীকে দিয়ে একটি মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছে। ওই মুচলেকায় ত্যাগী জানিয়েছেন, তিনি আগামী তিন মাস আর কোনও উসকানিমূলক মন্তব্য করবেন না। বা কোনওরকম সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করবেন না। এর আগে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টে ত্যাগীর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারপরই মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদন করেন ত্যাগী।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর হরিদ্বারে একটি রুদ্ধদ্বার ধর্মসংসদের আয়োজন করা হয়। যার মূল আয়োজক ছিলেন বিতর্কিত ধর্মগুরু যতি নরসিংহনন্দ। বিতর্কিত সমাবেশে জীতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হিন্দু রক্ষা সেনার প্রবোধানন্দ গিরি, বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী উদিতা ত্যাগী এবং বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। ওই সমাবেশেই এক বক্তাকে বলতে শোনা যায়,”মায়ানমারের মতো আমাদের পুলিশ, সেনা, রাজনীতিবিদ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষকে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে। এবার ‘সাফাই অভিযান’ চালাতে হবে।”
আরেক বক্তাকে বলতে শোনা যায়, “যদি ওদের সমূলে ধ্বংস করতে চান, তাহলে ওদের হত্যা করুন। আমরা এমন ১০০ জন যোদ্ধাকে চাই, যারা ওদের ২০ লাখ লোককে হত্যা করবে।” জীতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগী যিনি কিনা ধর্ম পরিবর্তনের আগে ওয়াসিম রিজবি নামে পরিচিত ছিলেন, তিনিও ওই ধর্মসভায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
ভিডিওগুলি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ধর্মসংসদের আয়োজকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। ত্যাগী-সহ কয়েকজন ধর্মগুরুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর গত কয়েক মাস জেলেই ছিলেন জীতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগী। সূত্র: টাইমস নাউ।