সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমেরিকায় রাজ্যে রাজ্যে মৃত্যুর মিছিলঃ চলছে গণকবর, আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক




এমদাদ চৌধুরী দীপু, নিউইয়র্কঃ

আমেরিকায় একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১০হাজারের উপরে। এটি এ যাবত রেকর্ডসংখ্যক সুস্থ হওয়ার খবর। তবে আবারো আমেরিকার রাজ্যে রাজ্যে মৃত্যুর মিছিল। ছয়লাখ অতিক্রম করে আমেরিকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭লাখ স্পর্শ করতে যাচ্ছে।আজ আক্রান্ত ৬,৪৪,০০০ এর উপরে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৮,৫২৬জন। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ২৪৭৯জনের। এ পর্যন্ত আরোগ্য ৪৮,০০০এর উপরে। সুস্থ হওয়া এবং মৃত্যু বাদ দিলে আমেরিকার ৫০ রাজ্যে বাসা-বাড়িসহ শত শত হাসপাতালে ৫লাখ ৭০ হাজার রোগী আর স্বজনের আহাজারী। আজ একদিনে এখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮,০০০ এর উপরে। চিকিৎসকরা মনে করেন এই রোগ একটা অংশকে আক্রান্ত করবে,আরেকটি অংশকে মানসিক করোনা রোগীতে পরিনত করবে।
আমেরিকায় আবারো বেড়েছে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে নিউইয়র্কে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের উপরে,মারা গেছেন ৭৫২জন। আক্রান্তের সংখ্যা ২,১৪,৬৪৮জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু ১১,৫৮৬জন। এই সপ্তাহ এবং আগামী সপ্তাহে মৃত্যু বেশী হলেও আক্রান্তের হার কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিস্টরা। লকডাউন উঠে যাবে অথবা উঠে যেতে পারে এমন গুঞ্জনে পাল্টে গেছে নিউইয়র্ক রাস্তার দৃশ্যপট। প্রচুর গাড়ি রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে,রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। এদিকে নিউইয়র্ক এর গভর্নও কুমো এক সংবাদ সম্মেলন করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে জেল,জরিমানার হুমকী দিয়েছেন,বলেছেন কঠোরভাবে এসব মেনে চলতে হবে। করোনার প্রতিষেধক এর জন্য ১৮মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে এমন তথ্যদিয়ে কুমো স্ব স্ব অবস্থানে সাবধানতা এবং সতর্কতার সাথে চলাচরের অনুরোধ জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর করোনা মহামারীতে নাগরিকদের জীবন যাপনের নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আমেরিকার ৪৬টি রাজ্যেআজো মারা যাওয়ার চিত্র উদ্বেগজনক। এ পর্যন্ত আমেরিকাজুড়ে ৪৮ হাজার ৭০১জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এদিকে করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশীদের মৃত্যুর মিছিল, প্রতিদিন সকাল শুরু হয় কারো মৃত্যু সংবাদ শুনে। তালিকা দীর্ঘতর হচ্ছে।বাংলাদেশী একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন নিউইয়র্কে ভারতীয়,কিংবা পাকিস্তানী অভিবাসীদেও চেয়ে বাংলাদেশীদেও মৃত্যুর সংখ্যা বেশী ।
এদিকে নিউইয়র্কের পর উদ্বেগজনক অবস্থা নিউজার্সীতে। আক্রান্ত প্রায় ৭১হাজারের উপরে,,মারা গেছেন ৩১৫৬জন। অবনতি হয়েছে মিশিগানের করোনা পরিস্থিতি,এখানে মৃত্যু ১৯২১জনের,নতুন করে মৃত্যু ১৫৩জনের,মোট আক্রান্ত রোগী ২৮হাজারের উপরে।
আক্রান্ত রোগী বিবেচনায় শীর্ষ রাজ্য সমূহঃ
আক্রান্ত রোগী বেশী যেসব রাজ্যে সে তালিকায় রয়েছে,কেলিফোর্নিয়া,২৬হজারের উপরে।,মেসাজুসেট,৩০ হাজারের উপরে,ইলিনইস,প্রায় ২৪,হাজার ।পেনসেলভেনিয়া,২৭ হাজারের উপরে, ফ্লোরিডা২২ হাজারের উপরে,লুসিয়ানা, প্রায় ২২ হাজার জর্জিয়া১ হাজার ,টেক্সাস১৫হাজারের উপরে।কানেকটিকা,১৫ হাজার । ওয়াশিংটন,আক্রান্ত ১০হাজারের উপওে,নতুন কওে আক্রান্ত কিংবা মৃত্যু নাই।ইন্ডিয়ানা এবং মেরিল্যান্ডে আক্রান্ত ১০ হাজার প্রতিটিতে।

উল্লেখযোগ্য নতুন মৃত্যুঃ আলোচিত শীষ রাজ্যগুলো
ওয়াশিংটন,-০জন, ,কেলিফোর্নিয়া,৮২জন,মেসাজুসেট,১৫১জন,ইলিনইস,৮০জন ।পেনসেলভেনিয়া,৮৩জন,মিশিগান,১৫৩জন,ফ্লোরিডা৪৩জন,লুসিয়ানা,৯০জন, জর্জিয়ায়২৮জন,টেক্সাস১৯জন,কানেকটিকায়১৯৭জন,ইন্ডিয়ানায় ৪৯জন,মেরিল্যান্ডে ৪৭জন।

আলোচিত রাজ্যে মোট মৃত্যুঃ
কানেকটিকা,৮৬৮জন,কেলিফোর্নিয়া,৮৬০জন,মেসাজুসেট,১১০৮জন ,ইলিনইস,৯৪৮জন।পেনসেলভেনিয়া,৭৭৯জন,মিশিগান,১৯২১জন,ফ্লোরিডা৬১৪জন,লুসিয়ানা,১১০৩জন, ,জর্জিয়৫৫২জন ,টেক্সাস৩৬৪জন। ওয়াশিংটন,৫৪৭জনÍ,
আমেরিকাজুড়ে এখন শোকের ছায়া।লাশ গণকবর দেয়া হচ্ছে। ফিউনারেল,ট্রাক,লাশঘর,অস্থায়ী বিভিন্ন স্থানে পড়ে আছে মানুষের মরদেহ। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল,আর্তনাদ আহাজারী। হাসপাতালে বাড়তি চাপ। নেই লাশ রাখার জায়গা।করোনা রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত পৃথক ব্যবস্থা না থাকায় রোগী এবং স্বজনদের অভিযোগ বাড়ছে,বাড়ছে হতাশা-ক্ষোভ।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: