মামুন সুলতান
বিক্ষত বটের তলে আজও হলো না বসা
আমাদের বিকেলগুলো ফিকে হয়ে গেলো
বরণের শাড়ি না পরেই নীল হলো আকাশ
লালফেড়ে শাদা দুপুরে পান্তাইলিশের পড়েনি ধুম
নির্জলা হলদে দুপুরে
আকাশে উড়েছিলো ঠিকই পানকৌড়ির ঝাঁক
ঠোঁটে ঠোঁটে খুলেছিলো দিগন্ত দুয়ার
আমরাই কেবল চুপ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ আতঙ্কে
বটের সবুজ ছায়া বিষণ্ণ হয়ে আমাদের প্রতীক্ষায়
তোমার খোলা চুলের মাতাল গন্ধে
নাক ডুবিয়ে গুনগুন করতো বৈশাখী হাওয়া
চোখের দীঘিতে নামতো একঝাঁক বুনোহাঁস
বাটামেহিদির রঙে কারুকাজ তোলা হাত
সাবানের পানি নিয়ে বারবার যাচ্ছে ঘরের ভেসিনে
হাত ধুতে ধুতে চলে গেলো বর্ষবরণের ভোর
তোমার কাজল চোখ আর নতুন শাড়ির ভাঁজ
অদেখায় রয়ে গেলো…
আবার কখন ফিরবে উচ্ছ্বসিত জীবনের তরঙ?