মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Sex Cams

ঈদে ছাপানো হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট




ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাপাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা গত বছরের তুলনায় ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি। করোনাভাইরাসের কারণে এবার অতিরিক্ত নতুন টাকা ছাপানো হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

যদিও কাগজের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায় না বিষয়টি প্রমাণিত। তারপরেও বাজার থেকে পুরাতন টাকা তুলে নিয়ে নতুন করে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট সরবরাহ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের আগে নতুন নোট ছেপে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বছরের নতুন টাকার মধ্যে রয়েছে ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০ এবং ৫০০ টাকার নোট। আগের মতোই সমপরিমাণ পুরাতন নোট বাজার থেকে অপসারণ করা হবে। গতবছর (২০১৯) ঈদে ২২ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাপিয়েছিল। তবে এ বছর ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা পরিচালনা বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কাগজের নোটের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারপরেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ছেঁড়া ও পুরাতন নোট অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রথমত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমপরিমাণ পুরনো নোটের বিপরীতে ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়বে। তারপর প্রয়োজন হলে আরও ৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট প্রকাশ করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র অনুসারে- ইতিমধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য থেকে নতুন নোটের মুদ্রণসামগ্রী আমদানি করা হয়েছে। তাই সাধারণ ছুটির মধ্যেও নতুন মুদ্রার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যস্ত মুদ্রা পরিচালনা বিভাগের কর্মকর্তারা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে প্রতি বছর বাজারে নতুন নোট ছাড়া হয়। চাহিদা ও সরবরাহ নীতি অনুসরণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সারা বছর বাজারে নোট সরবরাহ করে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও নতুন নোট প্রকাশ করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকার কাগজের নোট বাজারে প্রচলিত আছে। সাধারণত কাগজের নোটের চাহিদা ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে করোনাভাইরাসে সৃষ্ট বিপর্যয়ের কারণে এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: