বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃতদের ২০ জনই পুরান ঢাকার, আক্রান্ত দেড় শতাধিক




কামাল তালুকদার

রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন দেশড়’র বেশি মানুষ। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ‘লকড-ডাউন’ করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক ভবন।

পুরান ঢাকার ১০টি থানা এলাকার মধ্যে যে শ্যামপুরে গত সপ্তাহেও কোনো কোভিড-১৯ রোগী ছিল না, সেখানে গত দুই দিনে ১০ জন শনাক্ত হয়েছেন।

সব মিলিয়ে মোট ১৬২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন ১০ থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।

তাদের দেওয়া তথ্য মতে, সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে চকবাজারে ২৭ জন। আর ওয়ারি ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় শনাক্ত হয়েছে ২৫ জন করে। এরপরে রয়েছে বংশাল থানায় ১৯ জন এবং লালবাগে ১৫ জন।

মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে চকবাজারের চারজন। এছাড়া কোতোয়ালি, বংশাল ও সূত্রাপুরে তিনজন করে, ওয়ারি, লালবাগ ও গেন্ডারিয়ায় দুইজন করে এবং কামরাঙ্গীরচরে একজন। শ্যামপুর ও হাজারীবাগে ২২ আক্রান্ত হলেও কেউ মারা যাননি।

শুক্রাবারও পুরান ঢাকায় বেশ কয়েকজন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

চকবাজার থানার ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, শুক্রবার হরনাথ ঘোষ লেন ও অরফানেজ রোডে পাঁচজন শনাক্ত হয়েছেন। এই থানা এলাকায় এ পর্যন্ত ২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় আড়াইশ ভবন ‘লকড-ডাউন’ করা হয়েছে।

আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এসব এলাকার মানুষদের সচেতনতা কম দেখা যাচ্ছে। প্রয়োজন- অপ্রয়োজনে যখন তখন বাসা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে মানুষ।”

কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, নভেল করোনাভাইরাসে মোট ২৫ জন আক্রান্ত হলেও তাদের ২০ জনই শাঁখারিবাজার এলাকার।

কয়েক দিন আগে শাঁখারিবাজারের একটি ভবনের তিন তলায় একটি মরদেহ কয়েক ঘণ্টা ধরে পড়ে ছিল, সেই উত্তম ধর এবং তার তিন দিন আগে মারা যাওয়া তার স্ত্রী কল্পনা ধর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

“তাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য গোপন করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।”

সুব্রত সুর নামে ওই এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন, “পুরান ঢাকা ঘনবসতি, কিন্তু আমাদের শাঁখারিবাজার অনেক বেশি ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে একটি ফ্ল্যাটে একটির বেশি দুটি টয়লেট নেই।

উত্তম ধর ও তার স্ত্রী মারা গেছেন। কিন্তু তারা যদি তথ্য গোপন না করতেন তাহলে এই অবস্থার সৃষ্টি হত না।”

তিনি বলেন, “বর্তমানে যাদের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের অনেককে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাসায় থাকার মতো এসব রোগীদের অবস্থা নেই। ফলে আমাদের শাঁখারিবাজারে সামনে আরও ভয়াবহ দিন আসছে।”

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: