বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাস্ট্রের ৮টি রাজ্যে তুলে দেয়া হচ্ছে লকডাউন




এমদাদ চৌধুরী দীপু, নিউইয়র্ক:

যুক্তরাস্টের ৮টি রাজ্যে তুলে দেয়া হচ্ছে লক ডাউন। স্বাভাবিক হয়ে আসছে জীবন যাত্রা।এসব রাজ্যে লাখ লাখ মানুষের মধ্যে টেস্ট করে কোভিড-১৯ নেগেটিভ পাওয়া গেছে। জর্জিয়ার লকডাউন খোলে দেয়া হয়েছে,খোলে দেয়া হচ্ছে ফ্লোরিডার লকডাউন,লক ডাউন তুলে দিয়ে আবারো যেসব রাজ্য সচল করা হবে রিওপেন এর মাধ্যমে সে তালিকায় রয়েছে টেক্সাস,মিসিসিপি,কলোরাডে,টেন্নেসি,অকলাহোমা,এবং মিসরি। এসব রাজ্য খোলে দেয়ার বিষয়ে প্রতিবেদন করেছে যুক্তরাস্ট্রের বিভিন্ন গণমাধ্যম।

বৈশ্বিক তথ্যবাতায়ন ওয়াল্ডোমেটারের তথ্যমতে অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ায় একলাখ ৪৪হাজার মানুষের টেস্ট করে ২৫ হাজারের পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে,আর মারা গেছেন ১০৯৮জন। ফ্লোরিডায় ৩লাখ ৭৫হাজার মানুষের টেস্ট করে ২৭ হাজারের উপর মানুষের পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ১২১৮জন। অঙ্গরাজ্য টেক্সাসে টেস্ট করা হয়েছে ৩ লাখ মানুষের।এর মধ্যে ২৮ হাজারের পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে,আর মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৭৪৯জনের। মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে শনাক্ত রোগী ৬হাজারের উপরে,এখানে ৬৬ হাজার মানুষের পরীক্ষা করা হয়,মারা গেছেন ২৫০জন। কলোরাডে অঙ্গরাজ্যে ১৪ হাজারের শনাক্ত হয়েছে,এই রাজ্যে ৭০ হাজার ৫শ মানুষের টেস্ট করা হয়,মারা গেছেন ৭৬৬জন। সব রাজ্যে টেস্ট অব্যাহত রয়েছে,এছাড়া চিকিৎসা চলছে।টেনেসি রাজ্যে ১,৬৮,০০০ মানুষের টেস্ট করা হয়,শনাক্ত ১০ হাজারের উপরে,মৃত্যু ১৯৫জনের।অকলাহোমা রাজ্যে ৬১ হাজারের টেস্ট করা হয়েছে,শনাক্ত ৩ হাজারের উপরে,মৃত্যু ২১৪জনের। মিসউরি রাজ্যে ৭৩ হাজার মানুষের টেস্ট ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে,শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার,এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৩৮জনের।

মার্চ মাসের শুরুতে কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতি সুস্টি হয়। মার্চের শেষ সপ্তাহে ব্যাপক আকার ধারন করে। সবখানে গুরুত্ব দেয়া হয় টেস্টিংকে। ব্যতিক্রম নয় জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যসহ রিওপেন হওয়া রাজ্যগুলো। এসব রাজ্যে পার্ক,বার,থিয়েটার,রেস্টুরেন্ট খোলে দেয়া হয়েছে,খোলে দেয়া হয়েছে সেলুন,বিউটি পার্লারসহ অর্থনীতির সাথে এবং জীবন যাত্রার সাথে ঘনিস্ট সব প্রতিষ্ঠান।
২৯ এপ্রিল যুক্তরাস্ট্রে করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৫ হাজারের উপরে মানুষ। একদিনে শনাক্ত হওয়ার সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। একদিনে সুস্থ হওয়া এবং শনাক্ত হওয়ার মধ্যে আবার বিরাট ফারাক । মৃত্যু আবার বেড়েছে ২৪ ঘন্টায় ২৩৯০জন। নিউইয়র্কে একদিনে মারা গেছেন ৩৩০জন। যুক্তরাস্ট্রের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতির আবার অবনতি হয়েছে ।এসব তথ্য বৈশ্বিক তথ্যবাতায়ন ওয়াল্ডোমেটার থেকে পাওয়া গেছে।

১০লাখ ৬৪ হাজারের উপরে করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাস্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যসহ কিছু বড় শহর,কেন্দ্রীয় কারাগার,রণতরী,আইল্যান্ড গুলোতে। এর বিপরীতে প্রায় এক লাখ ৪৭ হাজার মানুষের সুস্থতায় স্বস্থিকর পরিবেশ মুক্তিকামী উত্তর আমেরিকাবাসীর মাঝে। গত এক সপ্তাহে সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার এর উপরে মানুষ ।
অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্ক নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল সেটি কমে এসেছে ক্রমাগত উন্নতির ফলে। এক সপ্তাহ আগে একদিনে শনাক্ত হতো ১০ হাজারের উপরে আর এখন ৫ হাজার। যুক্তরাস্ট্রে এখন মৃত্যুর সংখ্যা ৬১,৬৫৬জন।৩ রাজ্যে আরো ১৩ জনের নতুন কওে মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। নিউইয়র্কে মোট মৃত্যু ২৩,৪৭৪জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ৫২১জনের।
শীর্ষ রাজ্যগুলোর চিত্র হচ্ছে,নিউজার্সীতে শনাক্ত এক লাখ ১৬ হাজার এর উপরে ,মৃত্যু ৬৭৭০জন,সুস্থ মাত্র ১৫শ। মেসাচুসেট অঙ্গরাজ্য যেখানে শনাক্ত রোগী প্রায় ৬০হাজার,মারা গেছেন ৩৪০৫জন । মিশিগানে মারা গেছেন ৩৬৭০জন,এ যাবত শনাক্ত ৪০ হাজারের উপরে,এই রাজ্যে সুস্থতা নিয়ে রয়েছে উদ্বগ আর উৎকন্ঠা।
যুক্তরাস্ট্রে ভয়াবহ করোনার কারনে এ পর্যন্ত স্বপ্নের দেশে ২১০জন বাংলাদেশীর সমাধি হয়েছে।এর মধ্যে অনেক বিশিস্ট ব্যক্তিসহ পরিচিত মুখ রয়েছেন। রয়েছেন কমিউনিটি নেতা,পুলিশ কর্মকর্তা,চিকিৎসক,সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শ্রেনী ওপেশার মানুষ।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: