বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের চিরবিদায়




অনুক্ত কামরুল:

জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান আর নেই। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন)

তার ছেলে আনন্দ জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে গত ৯ মে ড. আনিসুজ্জামানকে সিএমএইচ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়।

সে সময় তার ছেলে আনন্দ জামান জানিয়েছিলেন, বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে গত ২৭ এপ্রিল রাজধানীর ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ড. আনিসুজ্জামানকে। সেখানে চিফ কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. খন্দকার কামরুল ইসলামের অধীনে চিকিৎসা হয় তার । কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতাল বদলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেও একই ধরনের সমস্যার কারণে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল একবার।

বাংলাদেশের প্রখ্যাত এই শিক্ষাবিদ ও লেখক ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতার পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট এই লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে তার কর্মজীবন শেষ করে অবসরে যান।

২০১৪ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘পদ্মভূষণ’ পেয়েছেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। নিজের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে নানা সফলতা পেয়েছেন এ গুণী শিক্ষক।

মওলানা আবুল কালাম আজাদ ইন্সটিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজ (কলকাতা), প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন আনিসুজ্জামান এ কৃতি শিক্ষক। এছাড়াও তিনি নজরুল ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগ্রন্থ রয়েছে তার। গবেষক ও সাহিত্যিক হিসেবে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কারে তিনি ভূষিত হয়েছেন।

What do you want to do ?

New mail

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: