শাবুল আহমেদঃ
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ‘লকডাউন’ জারি করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। এখনই এসব বিধিনিষেধ শিথিল করাটা বিরাট ঝুঁকির কাজ হবে বলে আন্তর্জাতিক দুটি গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। খবর বিবিসির।
এ নিয়ে একটি গবেষণা হয়েছে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজে। গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া সামিরভাট সোমবার সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে বলেন, সব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা উঠিয়ে নিলে দ্বিতীয় ধাপে অনেক মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
লকডাউনের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশই নতুন কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা কমায় বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু করেছে।
ইমপেরিয়াল কলেজের এ গবেষণায় ১১টি ইউরোপীয় দেশের লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পদক্ষেপগুলোর প্রভাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এগুলো যথেষ্ট পরিমাণে প্রভাব ফেলেছিল।
এ কারণেই মে মাসের শুরুর দিকে সংক্রমণ কমাতে থাকে।
ভাট বলেন, ঝুঁকি শেষ হয়ে গেছে আর দেশগুলোর বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এসে পড়েছে – এখনই এমন ধারণা করা ঠিক হবে না। কারণ মহামারীর প্রথম ধাপেই আছি আমরা।
ইমপেরিয়ালের গবেষণা দলটির হিসাবে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, যা দেশগুলোর মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ।
গবেষণার মডেল অনুয়ায়ী লকডাউন থাকায় প্রায় ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু এড়ানো গেছে।
ন্যাচার সাময়িকীতে প্রকাশিত অন্য গবেষণাটিতে বলা হয়েছে– চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ইরান, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউন জারির ফলে ৫৩ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে বেঁচেছে।
গবেষকরা বলছেন, লকডাউন ব্যবস্থা জারির আগে ভাইরাসের সংক্রমণ ইরানে দিনে ৬৮ শতাংশ হারে এবং অন্য পাঁচটি দেশে ৩৮ শতাংশ হারে বেড়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটি যৌথভাবে নেতৃত্ব দেয়া সলোমন সিয়াং বলেন, লকডাউন না থাকলে আমরা হয়তো পুরোপুরি ভিন্ন একটা এপ্রিল ও মে মাস দেখতাম।