যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী খলিফা হাফতার বাহিনী থেকে পুনর্দখল নেয়া এলাকায় শতাধিক মানুষের আটটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ মিশন-ইউএনএসএমআইএল। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুন) লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণ-পূর্বের তারহুনা নামক স্থানে গণকবরগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়। খবর এএফপির।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লিবিয়া সরকার (জিএনএ) গত সপ্তাহে এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর এ গণকবরগুলো চিহ্নিত করা হয়। বেশিরভাগ গণকবরই পশ্চিম লিবিয়ার তারহুনা এলাকায় বলে ত্রিপোলি ভিত্তিক জিএনএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ওই অঞ্চলে এটিই ছিল হাফতার বাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থান। জিএনএ থেকে রাজধানী ত্রিপোলি দখল নিতে শহরটিতে টানা ১৪ মাস ধরে তারহুনা থেকে অভিযান চালিয়েছিল হাফতার বাহিনী।
জাতিসংঘ মিশন এক টুইটার বার্তায় জানায়, সন্ধান পাওয়া গণকবরগুলার পূর্বের। দেশটি থেকে আল জাজিরা প্রতিনিধি মালিক ত্রাইনা জানান, গণকবরগুলোতে শতাধিক মৃতদেহ থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযোগ আনা এবং স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া জরুরি।
জিএনএ দাবি করছে, মৃতদেহগুলো মূলত হাফতার বাহিনী কর্তৃক আটককৃত সরকারি সেনা সদস্যদের। তবে এর মধ্যে বেসামরিক লোকের মৃতদেহও আছে।
জাতিসংঘ সমর্থিত লিবিয়ার সরকারের আইনমন্ত্রী গণকবরের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছেন। জানিয়েছেন সুষ্ঠ তদন্তের কথাও। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী। পাশাপাশি তারা এই হত্যাকাণ্ডের যারা শিকার হয়েছেন তাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ, ধরন জেনে, তাদের পরিচয় খুঁজে বের করে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের আহব্বান জানিয়েছে।
তারহুনা গেল এক বছর ধরে হাফতার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখান থেকেই তারা জাতিসংঘ সমর্থিত ঐক্যবন্ধ সরকারকে উচ্ছেদ করতে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল। যে কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারহুনা। যুদ্ধের ফলে এই অঞ্চলের কমপক্ষে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২ লাখ মানুষ হয়েছে ঘরছাড়া।