মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম:
সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়ক। নাম শুনলেই চেনেন যে কেউ। এই সড়ক দিয়েই পায়ে হেঁটে হযরত শাহ জালাল (র.) সিলেট এসেছিলেন।
সম্প্রতিকালে এই সড়কটি পরিচিত ভিন্ন একটি কারণে। সেটা হলো সড়কের নাজুক অবস্থা। দীর্ঘদিন থেকে এই সড়ক নিয়ে সংশ্লিষ্টরা এলাকার মানুষের সাথে টালবাহানা করছেন।
এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের পর গত বছর সড়কটির কাজ শুরু হলেও হচ্ছে হবে শুনেই শান্তি থাকতে হচ্ছে ওই সড়কে যাতায়াতকারী দক্ষিণ সুরমা-বালাগঞ্জ দুই উপজেলার মানুষকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের চন্ডিপুল থেকে ধুপাঘাট পর্যন্ত খানা-খন্দকে ভরা। ধুপাঘাট থেকে চকেরবাজার পর্যন্ত বালি-পাথর ফেলে রাখা হলেও এগুলো গাড়ির চাকায় উড়ে গিয়ে রাস্তার অবস্থা আরো খারাপ করে দিয়েছে।
চকেরবাজার, সিলাম জামে মসজিদের সামনে হতে গোন্ডেন ফিউচার একাডেমির সম্মুখ, সিলাম ইউনিয়ন অফিসের সম্মুখ, কলাবাগান বাজার, জালালপুর বাজারের কিছু অংশ আরসিসি ডালাই করা হলেও বাকী প্রায় বিশ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা একেবারেই নাজুক। এই সড়ক দিয়ে বর্তমানে গাড়ি চলাচল করা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক ভালো না থাকা ও করোনার অজুহাতে এই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের ভাড়াও দ্বিগুণ বাড়িয়েছেন চালকরা।
কথা হয় সড়কটির একজন যাত্রীর সাথে, তিনি জানান, এই সড়কটির অবস্থা প্রায় এক দশক থেকে খারাপ। ভেবেছিলাম এবার ভালো হবে কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যেভাবে ধীর গতিতে কাজ করছে মনে হয় না আরো দুই তিন বছরেও রাস্তার কাজ শেষ হবে কিনা।
সিএনজি অটোরিকসা চালক আব্বাস উদ্দিন জানান, রাস্তা ভালো না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। রাস্তা ভালো হলে নায্য ভাড়াই যাত্রীদের কাছ থেকে নিবেন তারা।
সড়কের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্টানের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, করোনার কারণে তারা ধীর গতিতে কাজ করছেন। তবে তাদের কাজ থেমে নেই।