শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Sex Cams

আফগান টেলিভিশনে নাটকে দেখা যাবে না নারীদের




আফগানিস্তানে নতুন ‘ধর্মীয় নীতিমালা’ প্রকাশ করেছে তালেবান সরকার। এই নীতিমালায় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জন্য নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নাটক বা কোনো অনুষ্ঠানে নারীদের দেখানো যাবে না।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, গতকাল রোববার আফগানিস্তানের নীতিনৈতিকতা–বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসব নির্দেশনা জারি করে। চলতি বছর ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম আফগান গণমাধ্যমগুলোর ওপর নিয়মনীতি চাপিয়ে দিল তালেবান।
মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সংবাদ উপস্থাপনের সময় নারী সাংবাদিকদের হিজাব পরিধান করতে হবে। ধর্মীয় কোনো চরিত্র নিয়ে টেলিভিশনে কোনো চলচ্চিত্র বা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা যাবে না। পাশাপাশি ইসলাম ও আফগান আদর্শের বিপরীতে যায়, এমন অনুষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা এসেছে।

এদিকে নীতিমালাগুলো জারির পর তা রোববারেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হাকিফ মোহাজির এএফপিকে বলেন, ‘এগুলো কোনো আইন না, বরং ধর্মীয় নীতিমালা।’
তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের আগে গত ২০ বছরে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছিল আফগানিস্তানের টিভি চ্যানেলসহ গণমাধ্যমগুলোর। ২০০১ সালের পর পশ্চিম–সমর্থিত তৎকালীন আফগান সরকারের অধীন গড়ে ওঠে বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন। সেখানে সম্প্রচার হতো ভিন্ন সব অনুষ্ঠান। ‘আমেরিকান আইডলের’ আদলে আয়োজন হয়েছিল গানের প্রতিযোগিতার। প্রচার করা হতো গানের ভিডিও। এ ছাড়া তুরস্ক ও ভারতের বেশ কিছু ধারাবাহিকও প্রচার করা হতো এসব টেলিভিশনে।

তবে এর আগে পরিস্থিতি ছিল একেবারেই ভিন্ন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিনোদনের নানান মাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে তালেবান। সে সময় ছিল না কোনো গণমাধ্যম। টেলিভিশন, চলচ্চিত্রসহ বিনোদনের বেশির ভাগ ধরনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তালেবান সরকার।
এসব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে শাস্তির প্রচলনও করেছিল তালেবান। টেলিভিশন দেখা অবস্থায় কেউ ধরা পড়লে শাস্তির মুখে পড়তে হতো। ভেঙে দেওয়া হতো টেলিভিশনটিও। আর কারও কাছে ভিডিও প্লেয়ার মিললে শাস্তি ছিল জনসমক্ষে বেত্রাঘাত।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: