শাহ সুহেল আহমদ:
জাঁকঝমকের প্যারিসে এবারও থার্টিফার্ষ্ট উদযাপন হচ্ছে না। করোনার ভয়াল থাবা মোকাবেলায় গতবারের মতো এবারও প্যারিস থাকবে নিরব-নিস্তব্ধ। প্যারিসের ঐতিহাসিক শঁজেলিজে ও আইফেল টাওয়ারে আলোকসজ্জা করা হলেও সেখানে লোকসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কিংবা রাতটাকে স্মৃতিময় করে রাখতে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্যারিসে অনেক পর্যটকের সমাগম ঘটে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যারাত থেকেই বাঙালিদের কাছে প্যারিস গেট হিসেবে পরিচিত আর্ক দ্য থ্রিয়ম্প-এ জড়ো হতে থাকেন লাখো পর্যটক। ঘড়ির কাটায় ১২টা ১মিনিট বাজার সাথে সাথে শ্যাম্পেনের স্রোত আর আতশবাজির আওয়াজে পুরো প্যারিস মেতে ওঠে। রাতভর ড্যান্স, চুম্বন খাওয়া আর মদ্যপান পার্টির অন্যতম অংশ।
কিন্তু মহামারী করোনা এই উৎসবকে থামিয়ে দিয়েছে। গেল বছরও এ রাতে প্যারিসে সব ধরনের আয়োজন বন্ধ ছিল। এবারও তাই। পার্থক্য শুধু গত বছর রাতে কাফিউ ছিল, এটা এবার নেই।
ফ্রান্সে এখন করোনার পঞ্চম ঢেউ চলছে। মহামারী শুরুর পর থেকে গত দুদিন পেছনের সকল রেকর্ড ভেঙে করোনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে দুই লাখ ৬ হাজার ও বুধবার ২৪ ঘন্টায় দুই লাখ ৮ হাজার করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হন। এছাড়া গেল এক সপ্তাহ থেকে প্রতিদিনই লাখের উপরে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে আবারও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। তবে এখনই আর লকডাউনের কোনো চিন্তা নেই বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জন কাস্তেক্স।