বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Sex Cams

কানাডায় ‘শাহ আলম মোল্লা মসজিদ’র যাত্রার গল্প




জয়নুল ইসলাম খাঁ

জয়নুল ইসলাম খাঁ ছোট বেলা থেকেই মনের ইচ্ছা ছিলো যদি নিজে পারেন বা কারো সাথে থেকে হলেও একটা মসজিদ বা মাদরাসা তৈরি করার সুযোগ যদি আল্লাহ দেন ,তাহলে আল্লাহর দরবারে অশেষ শুকরিয়া। আর এমন স্বপ্ন নিয়েই জীবন চলছে জয়নুল সাহেবের।

সমাজ সংগঠক , লেখক  ও গবেষক  জয়নুল ইসলাম খাঁ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কানাডায় গমন করেন। রাজধানী টরন্টোতে এক সপ্তাহ থাকার পর মনট্রিলে চলে যান। সেখানকার পরিচিতমুখ ধর্মপ্রাণ ইকবাল আহমদ ও জুনেদ উনার কাছের মানুষ।

যাইহোক মনট্রিল আসার পর উনার বাসা থেকে মসজিদে নামাজে যেতে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগতো, আরতো কানাডার স্নো, বরফ ও ঠান্ডা। তাই নামাজে যেতে জ্যাকেট , সু-জুতা,মোজা ও মাথায় কেপ দিয়ে যেতে হতো-আর মনে মনে চিন্তা করে আক্ষেপ করতেন যে ,যদি কোন দিন এতো ঠান্ডা ও দুরত্বের কারণে জমাতে নামাজ আদায় যদি মিস হয়ে যায়  বা মসজিদে যাওয়া যায় না , তখন কি হবে! এমন আক্ষেপ করতেন।এমনকি এতো ঠান্ডায় ফজরের সময় মসজিদ দূর থাকায়- দু,জনেই দৌঁড়ে গিয়ে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করতেন। আরতো নামাজের সময় হইছে বলে কোন আজান শুনা যায় না। যদিও মসজিদের ভিতরে আজান হয়,আর আওয়াজ মসজিদের ভিতরেই থাকে।

এরপর অন্য একটা মসজিদে যেতেন নামাজ আদায় করতে, তো-সে মসজিদে ফরজ নামাজ শেষে কোন দোয়া তো নেই-ই,অথচ দোয়া হচ্ছে ইবাদতের মগজ।

আর ১/২ জন ছাড়া কোন মুসল্লিই ফরজ নামাজ পরে সুন্নাত পড়েনই না! এরচেয়ে মনে কষ্টদায়ক ও জগণ্য একটা চর্চা সেই মসজিদে জয়নুল সাহেব দেখে মনের দু:খে প্রায়ই হাঁটেন আর কাঁদেন আর ভাবেন এই হলো আমাদের মুসলমানদের মুসলমানিত্ব!

যেটা হচ্ছে ফরজ নামাজ শেষে যার যার ইচ্ছামতো অন্য নামাজী মুসল্লির সামনা দিয়ে অনায়াসে যাওয়া আসা করেন ,তাতে কেউ কোন নিষেধ বা ইমাম সাহেবের ও কোন বাধা নিষেধ দেখেন নি! তাদের যাওয়া আসায় মনে হয় এটা কোন গোনাহের কাজ নয়, তাদের মনে একটুও খোদাভীতি জাগেনা!! অথচ নামাজি ব্যক্তির সামনা দিয়ে যাওয়া আসা কতো যে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি পাওয়ার গোনাহ হয় -হাদিসে আছে -যদি বান্দা জানতো তাহলে সে ৪০ বৎসর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতো তবুও নামাজি ব্যক্তির সামনা  সামনা দিয়ে আসা-যাওয়া করতোনা!!!

যাইহোক এভাবে ২০/২২ দিন মনট্রিলের মুয়াজ বিন জাবাল মসজিদে ৩ নাম্বার ইমাম হিসেবে নামাজ পড়ান জয়নুল সাহেব।পরবর্তীতে উনার বাসার মালিক বড় মনের মানুষ, কানাডার শিল্পপতি জনাব শাহ আলম মোল্লা ভাইকে বলেন যে , আল্লাহ সকল মানুষকে দিয়ে ভালো কাজ করান না , যাকে আল্লাহ ভালো পান,পছন্দ করেন ,তাকে ভালো কাজ করার সুযোগ করে দেন। সুতরাং আল্লাহ  আপনাকে অর্থ-বিত্ত দিছেন ,আর আপনি/আমি  মরে যাবো একদিন ,  আর এই মসজিদ দানের  সওয়াব আপনি মরার পরও আপনার আমল নামায় নেক কাজ হিসেবে, নেকি বাড়তে থাকবে। আর এতো বেশি টাকা বা এতো বেশি বিল্ডিং থাকার কারণে কবরে কোন ফায়দা পাবেন না বরং যদি এরকম মসজিদ বা মাদরাসা বা বাচ্চাদেরকে হক্কানী আলিম বানিয়ে যান ,তাহলে সেটায় আপনাকে পরকালে শান্তি দিবে। এগুলো সদকায়ে জারিয়া আমল।এমন কাজে আল্লাহকে খুশি করতে পারবেন ।আপনার বেশি টাকা হওয়াটা স্বার্থক হবে। অনেক ভালো ও সুন্দর মনের মানুষ মসজিদ দাতা জনাব শাহ আলম মোল্লা সাহেবকে এমন কথা গুলো বলতেই ,প্রথমে উনি জায়গা নেই বললে, পরে উনি রাজি হন নামাজের ব্যবস্থা করে দিতে এমনকি উনি উনার অফিস রেখে সাথে সাথে উঠে আসেন ও তিনির বিল্ডিংয়ের গডাউন -সেটার তালা খোলে দিয়ে জয়নুল সাহেবকে গডাউন খালি করার কাজে তিনিও সাহায্য করেন। পরবর্তীতে পাশের ২ রুমের ২ জন আল্লাহ প্রেমিক ঢাকার বিক্রম পুরের জনাব রানা খান  ও জনাব মিজান সাহেব শব্দ শোনে এসে জিজ্ঞেস করে নামাজের জন্য মসজিদ প্রস্তুত হচ্ছে জেনে তারাও মনের তৃপ্তি সহকারে সেই পবিত্র কাজে , আল্লাহকে রাজি খুশি করার কাজে অংশগ্রহণ করে কাজ শেষ করতে সাহায্য করেন। পরবর্তীতে জয়নুল ইসলাম খাঁ নিজে উনার পরিচিতো এক বৃদ্ধ ধার্মিকজনের কাছ থেকে মসজিদের জন্য ফ্রি  কার্পেট ম্যানেজ করেন ,এর আগে ঐযে নামাজী ছোট ভাই যিনি ফজরের সময় হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডা বরফের মাঝে দৌঁড়ে গিয়েও জামাতের সাথে নামাজ পড়েন জনাব জুনেদ  মসজিদের কার্পেটের জন্য ২০০ ডলার দান করেন এবং বলেন দরকার হলে আরো দিবেন।

পরবর্তীতে যখন কোন একদিন শাহ আলম মোল্লা মসজিদে নামাজ পড়েন এবং নিজে খু্ব খুশি হয়ে একদিন মসজিদে আজানও দেন , নামাজ শেষে তিনি নিজে থেকে বলেন আরো একটা কার্পেট হলে ভালো হতো বলে ,পরে তিনি নিজে দিবেন বলেন, এমনকি নামাজ শেষে সাথে সাথে তিনি ক্রয় করে নিয়ে আসেন আরেকটি কার্পেট -তিনি হচ্ছেন সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ৯ নং মানিকপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জের খলাদাপনিয়ার জনাব ইকবাল আহমদ সাহেব ,যিনি আল্লাহ প্রেমিক-মানব প্রেমিক একজন পরোপকারী মানুষ ,উনি প্রায় ২০ বছর থেকে কানাডার মনট্রিয়ালে পরিবারসহ বসবাস করেন।

পরবর্তীতে আরো কয়েকজন ,ভবিষ্যতে মসজিদ প্রস্হ বা স্হায়ীভাবে মসজিদ নির্মাণ করলে -সাহায্য করবেন বলে,আল্লাহর ঘরের কাজে নিজেদের কে  সংশ্লিষ্ট রাখতে পারলে জীবন স্বার্থক হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন ও অঙ্গীকার করেন। বাসার মালিক জনাব শাহ আলম মোল্লা সাহেব যেহেতু আপনি জয়নুল সাহেব বলতেছেন অনেকভালো মানুষ ও কয়েকটা বাসার মালিক অবস্হাশালী -বিত্তবান মানুষ। আর যেহেতু উনি মানুষকে নামাজের জন্য  মসজিদের জায়গা করে দিছেন ,সেহেতু উনার মনটা অনেক সুন্দর ও আল্লাহপ্রেমিক। মরার ভয় কাজ করে উনার অন্তরে। আরও আপনি বললেন, উনি মসজিদের ওদিকে আসলে ফোন দিয়ে বলেন যে, হুজুর আজকে আমি মসজিদে নামাজ পড়বো,আমি আসতেছি। আল্লাহকে খুশি করার জন্য উনার মনটাও রাজি। মনের মধ্যে আল্লাহপ্রেম আছে উনার। সেহেতু আপনি ইমাম সাহেব-জনাব শাহ আলম মোল্লা ভাইকে বলেন যে,বর্তমান জায়গায় হউক বা উনার অন্য কোন বাসায় হউক বা অন্যজায়গা ক্রয় করে দিয়ে স্হায়ী একটা মসজিদ করে দিতে। আর মানুষ কে নামাজের জন্য স্হায়ীভাবে মসজিদ করে দিলে আল্লাহ কতোযে খুশি হবেন ,ধর্মপ্রাণ মানুষ ও খুশি হবে , দোয়া করবে আপনি শাহ আলম মোল্লা সাহেবের জন্য এবং আল্লাহ ও আপনাকে জান্নাতে যাওয়ার পথ সহজ করে দিবেন এমন ভালো কাজের প্রতিদিন স্বরুপ।

“আমরা”সবাই এই দুনিয়ায় সারা জীবন বাঁচবো না ,অন্ধকার কবরে খুবই দ্রুত চলে যেতে হবে আমাদের সবাই। আর এই সংক্ষীপ্ত জীবিত জীবনে যত বেশি ভালো কাজ করবেন ততো ,কবরের জিন্দেগীতে আরামে থাকবেন। আর মসজিদ নির্মাণ করা কতো বড় যে সওয়াবের কাজ ,যা সদকায়ে জারিয়া হিসেবে আল্লাহর দরবারে নেক কাজ হিসেবে কবুল । আর মরার পরও আপনার জন্য নেকি লিখা হবে ও আপনার নেকির পাল্লা ভারি হবে যতদিন মসজিদে মানুষ নামাজ পড়বে। আর এমন মহৎ কাজে আল্লাহ জান্নাত দান করেন, চিরসুখে রাখবেন জান্নাতে।

আর ভালো কাজ করার সুযোগ আল্লাহ  সকল মানুষকে দেন না , যাকে আল্লাহ ভালোবাসেন তাকেই ভালো কাজ করার সুযোগ দেন ।

বিশেষ করে মসজিদের ইমাম জনাব জয়নুল ইসলাম খাঁ – একজন মানবিক মানুষ। যিনি দেশে থাকতেও মানুষের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন ভালো কাজ ও সামাজিক সংস্হার সাথে ভালো কাজে জড়িত ছিলেন। মানুষকে সম্মান করা ও মানুষকে ভালোবাসাকে তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও ইবাদত মনে করে সকল শ্রেণীর মানুষের সাথে তার সুন্দর আচরণ ,উঠাবসা ও সুন্দর সামাজিকতা রক্ষা করে জীবন পরিচালনা করেন।যদিও মসজিদের দাতা জনাব শাহ আলম মোল্লা সহ মুসল্লিরা রমজানে তারাবি নামাজ পড়ানির হাদিয়া স্বরুপ ৪০০ ডলার ইমাম সাহেব জয়নুল ইসলাম খাঁ কে দান করলেও , পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বেতন ছাড়া পড়াচ্ছেন সেই সহজ-সরল,স্পষ্টভাষী-সত্যবাদী ইমাম জয়নুল সাহেব।

অথচ বেশির ভাগ মানুষ দেখতেছি- মেয়ে-স্ত্রী ,বন্ধু – বান্ধব,সন্তান-সন্ততি ,আত্বীয়-স্বজন ,বড়-ছোট ,সবাই মিলে , এমনকি প্রায় বৃদ্ধ মা ,ছোট বাচ্চার সামনে , শ্রদ্বাভাজনদের সামনে নারী-পুরুষ,বড় -ছোট ভেদাভেদ না করে অর্ধনগ্ন হয়ে নাচ গানের অনুষ্ঠান করায় মত্ত।আর সে ধরণের নাচগানের অনুষ্ঠানে বেশিরভাগ নারীদের পোশাক অর্ধ নগ্ন স্টাইলের,যা মুসলমানের বাচ্চা হিসেবে মানায় না , এমন অশ্লীল পোশাক,এমন নাচ গানের অনুষ্ঠানে আল্লাহ অসন্তুষ্টি হন, মরার পরেও এমন অশ্লীল পোশাক ও নাচ গানের অনুষ্ঠানের কারণে শাস্তি ভোগ করতে হবেই হবে। কারণ এমন নাচ গান মা বাচ্চার সামনে অর্ধ নগ্ন অবস্হায় লাফালাফি। নাচগান ইসলামে গোনাহের কাজ বলে নির্দেশিত। ইসলামে এমন কার্যক্রমের অনুষ্টানের বৈধতা দেয় নি । আর এমন কার্যক্রমে আল্লাহ নারাজ হন ,অসন্তুষ্টি হন।

আর যে আল্লাহ দুনিয়ায় পাটাইছেন , আবার সেই আল্লাই মৃত্যু বরণ করাবেন। আর সেই আল্লারই ওয়াদা যে, যারা দুনিয়ায় ভালো কাজ করবে তারা জান্নাতের বাসিন্দা হবে , আর দুনিয়ায় যারা খারাপ কাজ করবে তারা জলন্ত দাউদাউ আগুনে পুড়তে হবে , সাপ বিচ্চুর কামড় খেতে হবে অন্ধকার কবরে।

আর সেই প্রতিকূল পরিবেশে জকিগঞ্জের সূর্য সন্তান জনাব জয়নুল ইসলাম খাঁ সাহেব টাকা রুজির লিপ্সাকে পেছনে ফেলে, সর্বপ্রথম নিজেসহ মানুষদের  নামাজের জন্য মসজিদের ব্যবস্হার মতো মহৎ কাজ করায় মত্ত ও বিনা হাদিয়ায় নামাজ পড়াচ্ছেন ,এমনকি ইমাম সাহেবের আরেকটা বড় ইচ্ছা যে – এসব দেশে ইসলামি শিক্ষা ,বিশুদ্ব  কোরআন শিক্ষার প্রসার খুবই জরুরি , তাই ইমাম জয়নুল সাহেব মসজিদের দরজায় নোটিশ দিয়ে সবাইকে জানিয়ে রেখেছেন যে – ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে যুবক থেকে বৃদ্ধদেরকে সঠিক কোরআন শিক্ষা তিনি দিয়ে যাবেন -কেউ ইচ্ছা করে কোন হাদিয়া দিলে আল হামদুলিল্লাহ, আর না দিলেও ইমাম সাহেবের কোন দাবী থাকবে না -ইমাম সাহেব ছোট বড় যাদের কোরআন বিশুদ্ধ নয় তাদেরকে  টাকা ছাড়া বিশুদ্ধ কোরআন শিখাবেন।ভবিষ্যতে আল্লাহ চাইলে সেখানে শাহ আলম মোল্লা মসজিদের সাথে শাহ আলম মোল্লা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা হবে ইন শা আল্লাহ। যদি শাহ আলম মোল্লা সাহেবের সাথে এমন ইসলাম প্রিয় সুন্দর মনের আল্লাহর বান্দারা এগিয়ে আসেন।ইমাম জয়নুল সাহেবের কাছে টাকা মুখ্য বিষয় নয়, মুখ্য বিষয় হচ্ছে মানুষ কে আল্লাহর কালাম , নামাজ ও ইসলামিক বিধিবিধান  শিখানো।খাঁ সাহেবের মনে একটাই ইচ্ছা- আল্লাহর কালাম বিশুদ্বভাবে মানুষ কে শিখানো ও ইসলামিক বিধিবিধান শিক্ষা দিয়ে মানুষ কে আল্লাহর পথে ও মসজিদ মুখী রাখা ,যদি আল্লাহ তাউফিক দান করেন।ভবিষ্যতে  সেই মসজিদে ছোট বড় সকলকে বিশুদ্ধ কোরআন শিক্ষা প্রদান ও ইসলামিক জ্ঞানার্জনের কেন্দ্র হিসেবে বাস্তবায়ন করার স্বপ্ন দেখছেন।তবে তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে যদি আল্লাহ হুকুম করেন ,আর মসজিদ দাতা ভালো মনের বড় মানুষ শাহ আলম মোল্লা ভাই ইচ্ছা করলে উনার পক্ষে সম্ভব ইন শা আল্লাহ ,ইমাম জয়নুল সাহেব শাহ আলম মোল্লা ভাইর সাথে একান্তে সে বিষয়ে কথা বলবেন , যে শাহ আলম মোল্লা ভাই মরার পরও উনার নাম শাহ আলম মোল্লা ভাই নামটি ও উনার নেক কাজটি যেনো দুনিয়ায় মানুষের মধ্যে স্মৃতি হয়ে থাকে ও পরকালে জান্নাত লাভের পাথেয় হিসেবে কবুল হয়।  আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনের জন্য অনুরুপ মসজিদ দাতা সুন্দর মনের মানুষ ,একজন ভালো মনের মানুষ,নিরহংকারী , সকলের সাথে মিশুক ও মিষ্টভাষী মানুষ বিশিষ্ট শিল্পপতী জনাব শাহ আলম মোল্লা সাহেবও  আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য নেক কাজ -মানুষ কে নামাজের জন্য মসজিদের ব্যবস্থা করে দিয়ে আল্লাহ মুখী রাখার পথ বেঁচে নিয়েছেন। যা দুনিয়ার মানুষের কাছে যেমন প্রশংসনীয় তেমনি আখেরাতেও আল্লাহর কাছে খুবই দামী-পছন্দনীয় ।

শাহ আলম মোল্লা মসজিদের সম্মানিত ইমাম জনাব জয়নুল ইসলাম খাঁ সাহেবের এমন মহৎ কাজ ও যারা মসজিদকে সুন্দর করার জন্য যতো ধরনের শ্রম ও আর্থিক সহায়তা করেছেন ও করবেন বলে ওয়াদা করেছেন এবং মসজিদের দাতা যার নামে মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে জনাব শাহ আলম মোল্লা সাহেবকে আল্লাহ আরো সুখী জীবন ,বিপদমুক্ত ,রোগমুক্ত জীবন দান করুন ও মসজিদটিকে স্হায়ী মসজিদ হিসেবে আল্লাহর রাস্তায় দিতে জনাব শাহ আলম মোল্লা সাহেবের মনের সাহস আল্লাহ বাড়িয়ে দিন এবং স্হায়ী মসজিদের দাতা হিসেবে শাহ আলম মোল্লা সাহেবকে আল্লাহ  কবুল করুন ও পুরো মুসলিম জাতিকে দরজা জানালা বিহীন অন্ধকার কবরে আরামে থাকার জন্য বেঁচে থাকার জিন্দেগীতে, মানবিক মানুষ শাহ আলম মোল্লা সাহেবের মতো সকল মুসলমানদেরকে  আরো বেশি বেশি নেক কাজ ও ভালো কাজ করার তাউফিক দান করেন এই দোয়া করি ও সাহায্য চাই মাবুদের শাহী দরবারে,আমিন।

লেখক : সাবেক ব্যাংকার, বর্তমান কানাডা প্রবাসী ।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: