বাসায় থাকার কারণে খালেদা জিয়া মানসিকভাবে স্বস্তিতে থাকলেও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব একথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, “উনি (খালেদা জিয়া) আমাকে ডেকে ছিলেন, আমি গিয়েছিলাম। তার অসুস্থতার খবরগুলো জানার চেষ্টা করেছি। বাসায় আসার কারণে নিঃসন্দেহে মানসিকভাবে একটা রিলিফ তিনি পেয়েছেন। সে কারণে তিনি মানসিক দিক দিয়ে একটু বেটার আছেন।
“আর স্বাস্থ্যগত দিক থেকে, তার অসুখের দিক থেকে খুব একটা ইম্প্রুভমেন্ট তার একদমই হয় নাই। তার তো চিকিৎসাই হচ্ছে না। কারণ হাসপাতাল তো বন্ধ প্রায়। হাসপাতালে গিয়ে তিনি পরীক্ষা করবেন সেই পরীক্ষারও সুযোগ নেই।”
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদার প্যারোলে মুক্তির শর্ত হিসেবে দেশের বাইরে না যেতে পারার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “উনি আগের যে চিকিৎসা তার ব্যক্তিগত যেসব চিকিৎসক রয়েছেন তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা কনটিনিউ করছেন।”
গত ১১ মে রাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশানে ফিরোজায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন। মুক্তির পর এটি তার প্রথম সাক্ষাৎ।
গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ৬ মাস সাজা স্থগিত রেখে সরকার খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেয়।
মুক্তির পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে থেকে নিজের বাসায় উঠেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এরপর থেকে তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শে কোয়ারেন্টিনে চলে যান। ফলে নেতারা কেউ তার সঙ্গে দেখা করছেন না।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।