বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Sex Cams

বিচার নয়, ষড়যন্ত্র’—লো পেনের সমর্থনে হাজারো মানুষের সমাবেশ




সাইফুল ইসলাম রনি:

গতকাল ফ্রান্সের উগ্র ডানপন্থী নেতা মেরিন লে পেনের সমর্থকরা প্যারিসের প্লেস ভবঁ-এ একটি সমাবেশের আয়োজন করেন। এই সমাবেশে হাজার হাজার সমর্থক উপস্থিত ছিলেন, যারা লে পেনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার প্রতিবাদ জানান।

প্যারিসের একটি আদালত লে পেন এবং তার ন্যাশনাল র‍্যালি (আরএন) দলের ২৪ সদস্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাতের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে, যার ফলে লে পেন পাঁচ বছরের জন্য রাজনৈতিক পদে থাকার অযোগ্য ঘোষিত হন।

সমাবেশে লে পেন তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি আমেরিকান নাগরিক অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে প্রেরণা নিয়ে এই রায়ের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করবেন। তিনি এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেন এবং বলেন যে এটি তার ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য করা হয়েছে।

সমাবেশে ন্যাশনাল র‍্যালি দলের বর্তমান সভাপতি জর্ডান বার্দেলা বিচার বিভাগের সমালোচনা করে বলেন যে এটি একটি “বিচারিক স্বৈরাচার” এবং এই রায় ফ্রান্সের গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করেন এবং লে পেনের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেন। তারা এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেন এবং বলেন এটি ফ্রান্সের গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।

অপরদিকে, বামপন্থী এবং কেন্দ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলি প্যারিসের প্লেস দে লা রিপাবলিক- ও সেন্ট ডেনি তে পাল্টা সমাবেশ করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন জানায় এবং লে পেনের সমালোচনা করে্ন। তারা লে পেনের দাবিকে ষড়যন্ত্রমূলক এবং বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর দল রেনেসাঁর সভাপতি গ্যাব্রিয়েল আত্তাল এই সমাবেশ কে “বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে” সমাবেশ বলে সমালচনা করেন এবং এলএফআই নেতা জিন-লুক মেলানচন একে “রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র” বলে অভিহিত করেন।

এই সমাবেশ এবং পাল্টা সমাবেশগুলি ফ্রান্সের রাজনৈতিক মেরুকরণকে আরও তীব্র করেছে, যেখানে লে পেনের সমর্থকরা তার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন এবং বিরোধীরা তার সমালোচনা করছেন।

এই রায়ের ফলে ফ্রান্সের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, বিশেষ করে ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রেক্ষিতে, যেখানে লে পেনকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তার অনুপস্থিতিতে, তার উত্তরসূরি হিসেবে জর্ডান বার্দেলা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, তবে তিনি লে পেনের মতো জনপ্রিয় নন।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: