ফারুক নওয়াজ খানঃ
ফ্রা্ন্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে থাকার সবচেয়ে সুবিধাজনক রাস্তাটি হলো রাজনৈতিক আশ্রয়। পাশাপাশি অভিভাসন আইনের আওতায়ও অনেকে বৈধ হবার সুযোগ পান। তবে সবচেয়ে সহজ পথটি হলো রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ।
আমাদের অনেকেই রাজনৈতিক আশ্রয় শব্দটিকে গুলিয়ে ফেলেন। তারা ভাবেন যেহেতু রাজনৈতিক আশ্রয় শব্দটি রয়েছে এ কারনেই আবেদনকারীকৈ অবশ্যই রাজনীতি সংশ্লিষ্টতা দেখাতে হবে। তার মানে আবেদনকারীকে এক সঙ্গে প্রচার সম্পাদক থেকে শুরু করে সভাপতি নিদেনপক্ষে অর্থসম্পাদক হতে হবে। সেটা ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলা, জেলা এমনকি জাতীয় পর্যায়েও হলে ভাল হয়।
একারনে অনেক আবেদনকারী বিভ্রান্ত হয়ে সাধ্যের চেয়ে বেশী ভার বহন করতে যায়। ফলস্বরুপ আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়। এরপর যে ভোগান্তি হয় সেটা অবর্ননীয়।
জেনেভা কনভেনশন কি?
১৯৫১ সালে জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের অধিবেশনে শরনার্থী বিষয়ক একটি আইন প্রস্তাব করা হয়। সেটি ২৮ জুলাই উত্থাপন করা হয়েছিলো। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শরনার্থীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এ আইনটি করা হয়েছিলো। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জাতিসংঘ শরনার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের দপ্তর স্থাপন করা হয়। সে প্রস্তাবনায় এখন পর্যন্ত ১৫১ টি দেশ স্বাক্ষর করেছে।
১৯৫৪ সালের ২২ এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর হয়।
কোন শর্তের কারনে একজনকে শরনার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়?
নিম্নলিখিত শর্তগুলোর যে কোন একটি পুরন করলেই শরনার্থী হতে পারবেন।
১. কোন ব্যক্তি যদি নিজ থেকে কোন কারনে চলে যেতে বাধ্য হন তিনি শরনার্থী মর্যাদা পাবেন।
২. কোন ব্যক্তি তার নিজ দেশে নিরাপত্তা দাবী করতে পারেন না।
৩. নিম্নের যে কোন একটি কারনে নিজ দেশে নিগৃহীত হলে:
ক) জনগোষ্ঠী এবং বর্ন।
খ) তার ধর্ম
গ) জাতীয়তা
ঘ) যে কোন সমাজের অর্ন্তভুক্ত যার কারনে নিগৃহীত হতে হয়, এবং
ঙ) রাজনৈতিক মতাদর্শগত কারন।
- এ শর্তগুলোর কোন একটা প্রমান করতে পারলে তিনি শরনার্থী মর্যাদা পাবেন।মনে রাখতে হবে অর্থনৈতিক কারন দেখিয়ে আবেদন করলে সেটা মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এ কারনে লম্বা কাহিনী লেখার কোন দরকার নেই। ছোট্ট একটা কারনে যে কোন ব্যক্তি নিজ দেশ থেকে দেশান্তর হতে পারেন।