শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

Sex Cams

উপসর্গ নেই, পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ আসছে




এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা মিলিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ জন, তাদের মধ্যে ১০ জনই পুলিশ সদস্য। আর চিকিৎসক আছেন তিনজন।

আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আটজনই ট্রাফিক পুলিশের সদস্য। অপর দুইজনের একজন নগর পুলিশের এসএএফ ইউনিটে এবং অপরজন র‌্যাব-৭ এ কর্মরত।

এছাড়াও এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীও করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন।

আক্রান্ত আট ট্রাফিক সদস্যের সাতজনই ট্রাফিক পুলিশের উত্তর জোনে কর্মরত এবং তারা সবাই সুস্থ আছেন বলে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মো. শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন।

উপ-কমিশনার শহীদুল্লাহ বলেন, “এর আগে আক্রান্ত একজনের জ্বর উঠেছিল। জ্বর সেরে যাওয়ার পর তিনি ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তবুও তার নমুনা পরীক্ষা করা হয় তিনি সংক্রমিত কি না তা জানতে, ওই সদস্যেরও করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে।

“এছাড়াও কয়েকজনের সামান্য জ্বর হলেও তাদের অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। কিন্তু প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে একই কক্ষে থাকায় তাদেরও নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।”

চট্টগ্রামে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণ হওয়ার খবর আসে ১২ এপ্রিল। পঞ্চাশোর্ধ ওই ট্রাফিক সদস্য থাকতেন দামপাড়া পুলিশ লাইনের ট্রাফিক ব্যারাকে। ওই দিন রাতেই অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয় ব্যারাকটি।

পরে যে আট ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তারা সবাই একই ব্যারাকেই থাকতেন। প্রথমজন থেকেই তাদের সবার মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে বলে ধারণা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

এখন উপসর্গ দেখা না দিলেও সতর্কতার অংশ হিসেবে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সংস্পর্শে যারাই এসেছিলেন, তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ।

এজন্য সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৩টি কক্ষকে কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া দামপাড়া বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে ২০টি আইসোলেশন শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর ১৬ শয্যার ফ্লু কর্নারও চালু রয়েছে।

এছাড়াও নারী পুলিশ সদস্যদের কোয়ারেন্টিনের জন্য পুলিশ লাইনে একটি ভবনের সাতটি কক্ষ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: