বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তৌফিকা করিম এডভোকেটের নেতৃত্বে এলএএইচপি’র মানবিক সহায়তা




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

মহামারী নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সংকটময় ক্রান্তিকাল পার করছে বাংলাদেশ। মধ্যবিত্তরা কোনক্রমে জীবন চালিয়ে নিলেও নিম্ন আয়ের বিশেষত খেটে খাওয়া ও দিনমজুর শ্রেণীর মানুষজন আজ বড্ড অসহায়। নভেল করোনা সংকটে সৃষ্ট এই সার্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন কাজ-কর্মহীন তথা আয়-রোজগারহীন শ্রমজীবী মানুষেরা। মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের নির্মমতা আর চারপাশের ঘরবন্দি পরিস্থিতি তাদের চোখে মুখে ফুটিয়ে তুলেছে অপার বিষণ্ণতা আর দু:দর্শদার করুণ চিহ্ন।

এই সব অসহায়, হতদরিদ্র মানুষজনের করুণ দু:দর্শদায় বরাবরের মতোই মর্মামত হন মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব ও সূপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী তৌফিকা করিম, এডভোকেট। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে লিগ্যাল এসিসটেন্স টু হেল্পলেস প্রিজনার্স এন্ড পার্সনস(এলএএইচপি) এর চেয়ারম্যান তৌফিকা করিম, এডভোকেট দ্বিতীয় ধাপে উপযুক্ত প্রতিনিধিগণের মাধ্যমে আরও প্রায় এক হাজার মানুষের মধ্যে মানবিক সহায়তা পৌছে দেন।

দ্বিতীয় ধাপে বিগত ২২ ও ২৩ মে,২০২০ এলএএইচপি’র মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় সংস্থার চেয়ারম্যান তৌফিকা করিম, এডভোকেট ম্যাডামের ব্যবস্থাপনা ও সরাসরি তদারকিতে ঢাকার পরিবাগ ওভারব্রীজ সংলগ্ন এলাকা ও তার আশাপাশ, ফার্মগেটের ইন্দিরারোড ও খামারবাড়ী এলাকার অসহায় রিক্সাচালক, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন এবং মিরপুরের ভাসানটেক বস্তির অসহায় বাসিন্দাদের মধ্যে সরকারী স্বাস্থ্য বিধি মেনে এলএএইচপি’র কর্মকতাবৃন্দ মানবিক সহায়তা পৌছে দেন।
এছাড়াও এলএএইচপি’র মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে কুমিল্লা শহর ও তার আশেপাশের অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে তৌফিকা করিমের উপযুক্ত প্রতিনিধিবৃন্দ কাজ করেছেন।

দ্বিতীয় ধাপে, আরও এক হাজার মানুষকে এলএএইচপি’র ত্রান সহায়তা বিতরণ প্রসঙ্গে, তৌফিকা করিম,এডভোকেট জানান,
“সমাজে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ এক সাথে বাস করেন। শ্রমজীবী কিংবা করোনা সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষগুলোও আমাদের সমাজেরই অংগ।
সরকারের লক ডাউন বিধিমালা পালন করতে গিয়ে এই মানুষগুলো আজ কর্মহীন তথা আয় রোজগারহীন। ভীষণ কষ্টে তারা দিনানিপাত করছেন। সরকারের একার পক্ষে এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে সহায়তার আওতাভুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের সবার উচিৎ, যার যার সাধ্যানুযায়ী, আশে পাশের অসহায় মানুষদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসা। সে লক্ষ্যেই আমিও প্রথম ধাপে, দুই হাজার মানুষকে সহায়তা দিয়েছি। দ্বিতীয় ধাপে এখন আবার আমার টিমের সদস্যদের মাধ্যমে আরও এক হাজার মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌছে দিয়েছি। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত রাখতে পারি, পরম করুণাময়ের কাছে এই প্রার্থনাই করি। আমার একটু চেষ্টা আর ডেডিকেশন যদি আমাদের আশেপাশের মানুষগুলোকে কিছুটা হলেও স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য দেয়, আমি মনে করি এটাই আমার প্রাপ্তি।”

এলএএইচপি’র মানবিক সহায়তা কার্যক্রম, ঢাকার বিভন্ন লোকেশনের দায়িত্বে থাকা সংস্থার সমন্বয়ক অঞ্জন কর জানান, সংস্থার চেয়ারম্যান তৌফিকা করিম, এডভোকেট ম্যাডামের সরাসরি তত্বাবধানে সরকারের স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে, কোন প্রকার জনসমাগম সৃষ্টি না করে অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অসহায় নাগরিকের মধ্যে মানবিক সহায়তা পৌছে দেবার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। গত ০৫ ও ০৬ এপ্রিল প্রথম ধাপে কুড়িলের কুড়াতলি, ঘাটপাড় বস্তি ও কাজীবাড়ী বস্তি, ভাসানটেকের দামাল কোট বাজার আদর্শ গলি, ভাটারা থানা সংলগ্ন নতুন বাজার এলাকা, বসুন্ধরা রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া ও ফার্মগেটের ইন্দিরারোডস্থ দিন মজুর ও রিক্সাচালক এবং বনানী ১১ নাম্বার সব মিলিয়ে মোট দুই হাজার মানুষের মধ্যে এলএএইচপির মানবিক সহায়তা প্রাপ্তি নিশ্চিতে আমরা কাজ করেছি। দ্বিতীয় ধাপে, অর্থাৎ গত ২২ ও ২৩ মে ঢাকার পরিবাগ ওভারব্রীজ সংলগ্ন এলাকা ও তার আশাপাশ, ফার্মগেটের ইন্দিরারোড ও খামারবাড়ী এলাকার অসহায় রিক্সাচালক, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন এবং মিরপুরের ভাসানটেক বস্তির অসহায় বাসিন্দাদের মধ্যে মানবিক সহায়তা পৌছে দিয়েছি। চেয়ারম্যান ম্যাডামের আরেকটি টিম কুমিল্লা শহর ও তার আশেপাশের অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে মানবিক সহায়তার লক্ষ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণে কাজ করছেন। মানবিক সহায়তার প্রতিটি ব্যাগ এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে একটি পরিবার দশদিন স্বাচ্ছ্বন্দ্যে খেতে পারবেন। আমাদের শ্রদ্ধেয়া লিডার, চেয়ারম্যান ম্যাডামের এই মহৎ উদ্দ্যোগে একজন কর্মী হিসেবে শামিল হতে পেরে আমরা প্রত্যেকে গর্বিত।

উল্লেখ্য যে, এলএএইচপি এনজিও বিষয়ক ব্যুরো নিবন্ধিত একটি মানব কল্যাণ ও সেবামূলক সংস্থা, যার নিবন্ধন নং-২৫৪৪। ২০০৯ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে ডিসেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে ৬০০ এর কাছাকাছি অসহায় কারাবন্দিকে জামিনে মুক্ত করেছে এলএএইচপি। সংস্থাটি বর্তমানে ঢাকাসহ সর্বমোট দেশের (২২) বাইশটি জেলায় গরীব, দুস্থ, অসহায় কারাবন্দি ও বিচার প্রার্থীদের আইনগত সহায়তা প্রদান করে আসছে। সরকারের পাশাপাশি আইনী সেবাকে সফলতার সাথে দেশব্যাপী বিস্তৃত করার অবদানস্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এলএএইচপি’কে ‘সেরা দেশীয় বেসরকারী সংস্থা-২০১৯’ মনোনয়ন প্রদান করে। ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান দিবস, ২০১৯ইং উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে ‘সেরা দেশীয় বেসরকারী সংস্থার পুরষ্কার গ্রহণ করেন এলএএইচপির চেয়ারম্যান এডভোকেট তৌফিকা করিম, যিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অন্যতম কার্যকরী সদস্য।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: