কোভিড-১৯ টেস্টে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তেজগাঁও বিভাগকে দেয়া হয়েছে।
তেজগাঁও থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, রাজধানীর তেজগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। তবে মঙ্গলবার সকালে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে থেকেই ডা. সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট প্রস্তুত ও সরবরাহ করে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
এ অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সাবরিনার স্বামী আরিফকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তার জবানবন্দির ভিত্তিতে রোববার দুপুরে ডিএমপির তেজগাঁও উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জেকেজি প্রতারণাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, জেকেজির কর্ণধার স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদ বিক্রি করেছেন। প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি নিয়েছেন সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি তারা নিতেন ১০০ ডলার।